এক যুগ শিকলবন্দি উপজাতি নারী, জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ১১:৪৮

খোরশেদ আলম, শেরপুর

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক যুগ ধরে শিকলবন্দি উপজাতি নারী নিরপতি কোচ (৩৭)। আর দেড় যুগ ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারীর জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড চেয়েও পায়নি তার পরিবার।

নিরপতি কোচ কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি গ্রামের সতেন্দ্র কোচের স্ত্রী। এক বছর আগে মারা যান স্বামী সতেন্দ্র কোচ। ২০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর এক সন্তানের জননী হন নিরপতি কোচ। এরপর থেকেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।

প্রথম দিকে রোগের মাত্রা কম থাকলেও টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারেনি পরিবার। বছর কয়েক পর সেই যে শিকলে বন্দি হন, তা আর খোলেনি। মায়ের বাড়িতেই আশ্রয়।

মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া নিরপতি কোচের সংসারে অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশা নিত্যসঙ্গী। একবেলা খাবার জোটে তো আরেক বেলা উপোষ যায়। অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন তাদের।

নিরপতি বৃদ্ধা মা পাতিশ্বরী কোচ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। জমিজমা, সহায়-সম্বল নেই বললেই চলে। শিকলবন্দি মেয়ের মুখে একবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে দ্বারে দ্বারে হাত পাতেন তিনি। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকারি ভাতার একটি কার্ড মেয়ের নামে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মা। 

পাতিশ্বরী কোচ বলেন, তার মেয়ের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড চেয়ে বহু আবেদন-নিবেদন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু আজও নিরপতি কোচের ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অনুসন্ধান করে তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/মোআ)