ইউনিস-কানেরিয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইনজামাম

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ১৪:৩৬

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক বলেছেন, স্পিনার দানিশ কানেরিয়া অভিযোগ করলেও প্রকৃত অর্থে কোনো বৈষম্যের শিকার হননি। অন্যদিকে, সাবেক ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ারকে ছুরি নিয়ে ইউনিস খানের হুমকি দেওয়ার ঘটনাও সত্য নয়।

ইনজামামের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান দলে দীর্ঘদিন খেলেছেন লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া। তিনি বৈষম্যের শিকার, এমন গুঞ্জন ক্রিকেট বিশ্বে অনেক দিন ধরেই ঘুরছে।

ডন নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে ইনজামাম বলেন, 'দলে ভালো ব্যবহার পাননি, সংবাদমাধ্যমে কানেরিয়ার এমন দাবি পড়ে আমি একইসঙ্গে ভীষণ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছি। আমার ধারণা, তিনি তার শতকরা ৮০ ভাগ আন্তর্জাতিক ম্যাচই আমার অধিনায়কত্বে খেলেছেন। দলের বাকি সবার মতো তার সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক ছিল আমার।'

'দলের মূল বোলারদের একজন ছিলেন তিনি। এ জন্য সবসময়ই তার সঙ্গে আমি আলাপ করতাম।' তার সঙ্গে আলাপ করা খুবই স্বস্তির ছিল বলে ইনজামাম উল্লেখ করেন।সাবেক এই অধিনায়কের ধারণা, ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে সবকিছু শেষ না করে দিলে কানেরিয়ার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট পাওয়া অসম্ভব ছিল না।

'দানিশ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিষিদ্ধ করেছে- এ খবর শুনে আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। টেস্টে ৫ শতাধিক উইকেট শিকারের সম্ভাবনা ছিল তার।'

এদিকে গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ টেস্ট রান সংগ্রাহক ও তৎকালীন সহ-অধিনায়ক ইউনিস খান তাকে ছুরি দেখিয়ে হুমকি দিয়েছেন। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইনজামাম বলেন, 'গ্র্যান্টের এ কথা আমি একদমই বিশ্বাস করি না। ইউনিসের সঙ্গে দীর্ঘদিন খেলেছি। তাকে যথেষ্ট ভালোভাবে চিনি। কারও দিকে ছুরি ধরার মতো লোক তিনি নন।'

'ভেবে অবাক হই, এসব কথা গ্র্যান্ট এখন কেন বলছেন? আসলে, মানুষ মাঝে মধ্যে মিডিয়ার দৃষ্টি কাড়তে পছন্দ করে! তিন বছরেরও আগেকার কোনো বিষয় নিয়ে এখন অভিযোগের কোনোই মূল্য নেই। তাছাড়া, যখন প্রধান নির্বাচক ছিলাম, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটার কথা আমার কানেই আসেনি।'

সাক্ষাৎকারে নিজ দেশের ক্রিকেট নিয়ে ইনজামাম আরও জানান, বিশ্বমানের দল হতে হলে পাকিস্তানের খেলায় ধারাবাহিকতা থাকা লাগবেই, সেটি বোর্ড ও দল- উভয় পর্যায়েই। তিনি বলেন, 'একেকজন খেলোয়াড়ের গড়ে উঠতে দুই-তিন বছর লেগে যায়; তবে অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রস্তুত হওয়ার পর অধিনায়ক বদলে ফেলা ভালো কিছু নয়।'

উদাহরণ হিসেবে ইনজামাম বলেন, পাকিস্তানকে যে প্রায় দুই বছরের মতো র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে রেখেছিলেন, টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সেই সরফরাজ আহমেদকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রূঢ় ছিল।

(ঢাকাটাইমস/০৮ জুলাই/এআইএ)