দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তি চরমে

অসীম কুমার সরকার, তানোর (রাজশাহী)
| আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২০, ১৫:১৬ | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০২০, ১৫:১২

রাজশাহীর তানোর উপজেলার লছিরামপুরের দুই কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে কাদা-ময়লা পানিতে একাকার হয়ে আছে। মাটির এ রাস্তাটি এতটাই বেহাল হয়েছে যে গরুর গাড়ি পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। এতে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে উপজেলার তিনটি গ্রামের কৃষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

উপজেলার তালন্দ ও পাঁচন্দর ইউপির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মোহর-লছিরামপুর-কৃষ্ণপুর সড়ক থেকে মোহর হঠাৎপাড়া থেকে লছিরামপুর হয়ে কৃষ্ণপুর স্কুল মাঠ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার মাটির রাস্তার বেহাল দশায় দুর্ভোগের শেষ নেই। মোহর থেকে লছিরামপুর রাস্তাটিও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে কৃষ্ণপুর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিকল্প পথে যেতে হলে ৩/৪ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়।

সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলো কাদা-পানিতে ডুবে যায়। এতে মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, রিক্সা-ভ্যান, নসিমন-করিমন, অটোবাইক, মোটরসাইকেল-সাইকেল চালানো, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লছিরামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শমসের আলী, কৃষক বাহার জানান, গ্রামের এ রাস্তাটির বেহাল দশায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে পারে না, কোন মুমুর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার আগে রাস্তায়ই মৃত্যু হয়। শুধু রাস্তার জন্য উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। বর্ষকালে গরুর গাড়িতে করে কৃষকের ধান নিতে বস্তা প্রতি ভাড়া দিতে হয় ১০০টাকা। এখন রাস্তার বেহাল দশায় গরুর গাড়িও চলাচল করতে পারছে না। ফলে মহিষের গাড়িই তাদের একমাত্র ভরসা।

মোহর গ্রামের ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কুমার সূত্রধর বলেন, ‘কয়েকদিন আগে লছিরামপুরের এক গর্ভবর্তী নারীকে চারজন মিলে খাটলীতে লাশ নেওয়ার মতো করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তার বেহাল দশা। আর বর্ষা এলে চলাচলে বাড়ে সীমাহীন বিড়ম্বনা।’

এ বিষয়ে পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ও তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘মোহর-লছিরামপুর-কৃষ্ণপুর রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ দিলে কাজ শুরু হবে।’

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রাস্তাটির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।

ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :