চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ফাটল, অর্ধশত পরিবার আতঙ্কে

শওকতআলী, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০২০, ২১:৪৯

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় আবারও ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। এর ফলে ভাঙন এলাকার বিভিন্ন বাড়ির প্রায় অর্ধশত পরিবারের লোকজন খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে হরিসভা এলাকার মধু বনিকের বাড়ির পেছনে প্রায় ২৫ মিটার বাঁধের পুরনো ব্লক তলিয়ে গেছে। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কার্যসহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, হরিসভা এলাকাটিতে পানির গভীরতা ও স্রোত বেশি। এছাড়াও বর্তমানে উজানের পানি নামার কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন মোকাবেলায় আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৯ সালে হরিসভা এলাকায় ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৩ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণ বাজার এলাকায় ১৪শ’৩০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৮০০ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে পুরাণ বাজার এলাকায় দেওয়ান ঘাট, পুরান বাজার ঠোটা, দোল মন্দির, বাকালি পট্টি, হরিসভা মোড়, বনিক বাড়ী, হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা নুর বকাউল বাড়ী ও রনা গোয়াল এলাকা রয়েছে।

এদিকে গত বছর হরিসভা কমপ্লেক্স এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির হস্তক্ষেপে ভাঙন প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৯৩ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নদীতে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ বনিক বলেন, হরিসভা রোডের মন্দিরের পশ্চিম পাশের নগেন্দ্র চন্দ্র বানিক মহাশয় বাড়ি ও অবিনি মোহন বনিক বাড়ির ৬০টি পরিবার ছিল। গত বছরের ভাঙনে প্রায় ১২টি পরিবারের বসতবাড়ি ঘর ভেঙে নদী গর্ভে চলে যায়। এখন আবার অর্ধশত পরিবার ভাঙনের হুমকিতে।

এ দুই বাড়ির পেছনে গত দুই দিন আগ থেকে পুরনো বাঁধে প্রায় ২৫ মিটার ভাঙন দেখা দিয়েছে। যার ফলে দুই বাড়ির দুলাল বনিক, বিশ্বনাথ বনিক, শিশির বনিক, অনু দে, লিটন দে, সুভাস দাস, লিটন নন্দী ও সুখরঞ্জন নন্দীর পরিবারসহ অসংখ্য পরিবার এখন আতঙ্কে আছে।

স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানিক সাহা বলেন, নদীতে পানি বেড়েছে। ঢেউ ও স্রোত বেশি। পানি এখন রাস্তার সমানে সমান। আমাদের ব্যবসা বন্ধ। হরিসভার মূল রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকা মেঘনায় তলিয়ে যাবে।

চাঁদপুরের দক্ষিণাঞ্চল নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির নেতা মমতাজ উদ্দিন মন্টুগাজী বলেন, মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাচ্ছি। গত বছর হরিসভা এলাকায় বিশাল ভাঙন দেখা দিয়েছিল। অনেক কাজ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অংশ কাজ করা হয়নি। সেখানেই এখন নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ না হলে গত বছরের পাঁচ কোটি টাকার কাজ বিফলে যাবে।

(ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :