ভরা নদীতেও মাছের আকাল
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর-খানসামা এ দুই উপজেলার ভরা নদ-নদী খাল-বিলেও পাওয়া যাচ্ছে না মাছ। খরা মৌসুমে নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়া, নদী ভরাট করে চাষাবাদ করা ও কীটনাশক প্রয়োগসহ সারাবছর ছোট-খাটো খাল-বিলে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন করায় ভরা মৌসুমে মাছের এ আকাল দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে তেমন দেখা মেলেনা কাঙ্কিত দেশী প্রজাতির মাছ। অপরদিকে নদীগুলোতে কোন মাছ না থাকায় দুই উপজেলার জেলে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
খানসামার কাচিনীয়া জেলে পাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবারের মধ্যে পতিত দাস , গিরিশ দাস, রমেস,বিনোদ, হরিপদ, চিরিরবন্দরের ডাঙ্গার হাটের হরিশ, দেবেশ, নরেশ ও সাতনালা গ্রামের মতিয়ার, মুকুল, ফিরোজসহ অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বেলান, ইছামতি, আত্রাইসহ ছোট-খাটো নদীগুলোতে কোন মাছ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
জেলেদের অনেকেই এখন নিজ পেশা ছেড়ে রিক্সা, ভ্যানগাড়ি, দিন-মজুরি করে কোন রকমে দিন যাপন করছে।
তারা আরও জানান, ‘নদীগুলোকে খনন করে সারাবছর পানির ব্যবস্থা এবং কোথাও কোথাও মাছের অভয়আশ্রমের ব্যবস্থা করলে ভরা মৌসুমে নদ-নদীগুলোতে দেশি মাছে ভরে যেত।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর মৎস্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার জানান, আমরা নদীতে পোনা অবমুক্ত কর্মসূচি আগষ্ট মাসে করে থাকি। তবে কীটনাশকের অবাধ ব্যবহারে মাছের অভয়াশ্রমগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ সচেতন হলে আবার দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/পিএল