আ.লীগে সাহেদের পদের কথা জানেন না তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০২০, ১৯:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশজুড়ে আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য পরিচয় দিলেও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন দলটির প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

করোনার নমুনা পরীক্ষায় প্রতারণা করাসহ অসংখ্য অভিযোগ মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে থাকা সাহেদের দলীয় পদের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন,  ‘সে (সাহেদ) দাবি করছে, সে আওয়ামী লীগের কোনো একটা উপ-কমিটিতে ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই। সে আওয়ামী লীগের কোনো উপ-কমিটির সদস্য ছিল বলে আমার জানা নেই।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রিজেন্টের প্রধান কার্যালয়, উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ নয়জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে।

সাহেদের প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরার জন্য হাছান মাহমুদ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গণমাধ্যমের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারই কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর তার ব্যাপারে পত্রপত্রিকায় যে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বেরিয়েছে সেজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এতে প্রমাণিত হয়, সে খুব সুচতুর একজন প্রতারক। এরকম আরও প্রতারক যারা আছে, আমাদের সম্মিলিতভাবে তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।’

একই সঙ্গে তার এই হাসপাতালকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেয়ায় সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।

বিএনপি নেতাদের সরকারের সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে এবং তার নেতৃত্বে দলের নেতারাসহ পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে। হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া বিএনপির আর কোনো কাজ নেই।’

‘মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে সরকার মামলা করছে’ বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার কারও বিরুদ্ধে মামলা করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে যে সব মামলা হয়েছে, সবগুলোই বিভিন্ন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি করেছেন। বিএনপির নেতারা জনগণ এবং সরকার দুটিই গুলিয়ে ফেলছেন। জনগণের কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি তার সুরক্ষার জন্য যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রাখেন।’

(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/বিইউ/জেবি)