‘নদীভাঙ্গনে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে’

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০২০, ২০:৪৭ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০, ২০:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। নিচু বাঁধগুলো উঁচু ও প্রশস্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে সবসময় আছেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা বেলটিয়া গ্রাম পরিদর্শনকালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন । এসময় তিনি নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৭টি পরিবারেরর প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১০০০০ করে টাকা ও ত্রাণ বিতরণ করেন।

তিনি জানান, বেলটিয়া গ্রামে নদীভাঙ্গনে ঘর-বাড়িহারা মানুষকে সরকারি উদ্যোগে পুণর্বাসন করা হবে। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে নদী ড্রেজিংয়ের বালি দিয়ে ভাঙ্গণকবলিত এলাকাটি ভরাট করে যার যেখানে ঘর-বাড়ি ছিল সেখানেই নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এছাড়া হাওর অঞ্চলে বাঁধের কাজ করার ফলে কৃষক শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পেরেছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী ট্যানেল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে।’

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সাংসদ হাছান ইমান খান সোহেল হাজারী, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজার) আজিজুল, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম আরা নিপাসহ জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতারা।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপারের দ্বিতীয় রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই গত কয়েকদিন আগে ব্লক ভেঙ্গে বেলটিয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘড়-বাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/পিএল