মুস্তাফিজ-মুডির যোগাযোগে দোভাষী রিকি ভুই

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২০, ১৪:২৭

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অসাধারণ বোলিংয়ে অভিষেকেই নজর কাড়েন ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পরই বিশ্ব ক্রিকেটে মুস্তাফিজের গুণকীর্তন শুরু হয়। যার ফলস্বরূপ পরের বছর আইপিএলে সুযোগ পেয়ে যান সান রাইজার্স হায়দরাবাদে। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে তাকে নিয়ে কাজ করতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় দলটির তৎকালীন কোচ টম মুডিকে। সেক্ষেত্রে মুস্তাফিজের সঙ্গে মুডির যোগাযোগ রক্ষার্থে দোভাষীর কাজ করতেন বাংলা জানা রিকি ভুই।

নিজের আইপিএল অভিষেক মৌসুমে বল হাতে ক্ষুরধার ছিলেন মুস্তাফিজ। হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট শিকার করেন তিনি। সেবার জিতেছেন প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরষ্কার। ব্যাটসম্যানদের কাছে তার কাটার যতটা দুর্ভেদ্য ছিল, ইংরেজিও তার কাছে ঠিক ততোটাই দুর্ভেদ্য। ফলে তাকে নিয়ে কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হয কোচিং স্টাফদের।

দলের বাংলা জানা ক্রিকেটার রিকি ভুইকে শেষ পর্যন্ত সামলাতে হয়েছিল দোভাষীর কাজও। তরুণ এই ব্যাটসম্যানের সাহায্য ছাড়াও দলের প্রধান কোচ টম মুডি লাগিয়েছেন মালিঙ্গার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেন এই অস্ট্রেলিয়ান।

সম্প্রতি ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সাথে লাইভ আড্ডায় মুস্তাফিজকে সামলানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন টম মুডি। তিনি বলেন, ‘২০০৫ সালের কথা সেসময় আমি শ্রীলঙ্কার কোচ ছিলাম। সবার সঙ্গে একে একে কথা বলতাম। তাদের অবস্থার কথা জানতে চাইতাম। এমন করে চার মাস চলে যায়। একদিন মাহেলা এসে আমার কাছে এসে বলে, কোচ আপনি ভালো কাজ করছেন কিন্তু একটা জায়গায় সমস্যা রয়েছে। মালিঙ্গা আপনার কথা বুঝেতে পারে না।’

আইপিএলে মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর বিষয়ে মুডি বলেন, ‘এটি আমার কোচিং ক্যারিয়ারের জন্য একটা বড় শিক্ষা ছিল। এরপর কোন খেলোয়াড়ের ইংরেজিতে সমস্যা থাকলে আমি লোকাল খেলোয়াড়দের দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি, যেন এটা মনে না করে তারা দলের কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ। ঐ সময় (২০১৬ আইপিএল) রিকি ভুই দলে ছিল। সে মুস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারত।’

মুডি আরো বলেন, ‘সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মুস্তাফিজকে বার্তা পৌঁছে দিতে। মুস্তাফিজের মতো কারো সঙ্গে কথা বলতে হলে আপনাকে অল্পতে কথোপকথন শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে বেশ সাধারণ ও সহজভাবে কথাগুলো বোঝাতে হবে। রিকি না থাকলে মুস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা অসম্ভব হতো।’

(ঢাকাটাইমস/১০ জুলাই/এআইএ)