এই কথা এখন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ
 | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২০, ১১:৪১

একেকজন বাংলাদেশি একেকটা ভাইরাস বোমা বলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। ইটালির প্রধানমন্ত্রী এই কথা এখন সারা ইউরোপের পর সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। সারা পৃথিবী বাংলাদেশের জন্য দরজা বন্ধও করে দিতে পারে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এই জন্যই কি জাতির পিতা সাধীনতার ঘোঘণা দিয়েছিলেন? এই জন্যেই কি তিনি দেশকে স্বাধীন করার জন্য দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করেছিলেন? এই জন্য কি মাত্র ৫৫ বছরের জীবনের ১৪টি বছর জেলে কাটিয়েছিলেন? জীবনভর তিনি কি এমন দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন?

১৯৭১ সালের রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের পরে দেশের এত বিরাট ক্ষতি আর কে কোনোকালে করেছে, আমার জানা নেই। তারপরেও এদেরকে এখনও ধরা যায় না। ওয়াল্লাহি! ওয়াল্লাহি! ওয়াল্লাহি! যারা ওদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, আমি তাদেরকেও অভিশাপ দিচ্ছি না; তবে অবশ্যই তাদের কৃত পাপের জন্য আল্লাহ'র দরবারে নিঃশর্ত যথাযোগ্য শাস্তি দাবি করছি। এই কারণেই আমি আল্লাহ'র কাছে তাদের শাস্তির জন্য প্রার্থনা করছি; যেহেতু আমার নিজের ক্ষমতা নাই তাদেরকে শাস্তি দেবার।

আমি যদি পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট পাপিষ্ঠ মানুষও হই, আমি আশাবাদি যে আল্লাহ আমার এই আকুল আবেদন অবশ্যই কবুল করবেন। কেননা, একটা জাতির বিরুদ্ধে এটা যে কত বড় ক্ষতি, তা আমরা যারা প্রবাসি, তারা অনেক বেশি অনুধাবন করতে পারি।

আমি অবাক হয়ে যাই, একটা ম্যাট্রিক পাস-ফেইল মানুষ কি করে এত বড় বড় মানুষের সাথে ছবি তোলার সূযোগ পেল! সে কি করে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রি/পররাষ্ট্রমন্ত্রির সাথে ছবি তোলার সূযোগ পেলো! আমাদের দেশের উচ্চ পর্যায় থেকেই কি তার লাইন-ঘাট ক্লীয়ার করা হয়েছে? যদি তাই হয়, তাহলে কেন?

মানুষ সরকারের দয়ায় বিদেশে আসে না। নিজেদের যোগ্যতা, পরিশ্রম, চেষ্টা ~ সর্বোপরি আল্লাহ'র দয়া নিয়ে বিদেশে এসে নিজের, পরিবারের, সমাজের, দেশের জন্য অবদান রাখে। আজ একজন মানুষ সামান্য কয়েক কোটি টাকা কামানোর জন্য দেশের এত বড় ক্ষতি করার লাইসেন্স যেই মন্ত্রি তুলে দিলো একটা লাইসেন্সবিহিন হাসপাতালের হাতে, সেই মন্ত্রী এখন কি করে মন্ত্রী থাকে

১৯৯০ সালে শিশুকালে ক্লাস সিক্সে থাকাকালীন যখন ছাত্রলীগের স্কুল-কমিটির সদস্য হিসেবে এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, তখন এই মন্ত্রীর বাপ এরশাদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন, এই মন্ত্রী তখন আওয়ামীলীগের যমদূত হোত যদি ক্ষমতা থাকতো! তাহলে তাকেই কেন মন্ত্রি বানাতে হলো? ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে যারা নিজেদের জীবন-যৌবন স্যাক্রিফাইস করেছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে কি কাউকেই পাওয়া যায়নি?

এই মন্ত্রীতো এসেছে আওয়ামীলীগের বারোটা বাঁজানোর বারতা নিয়ে একটা গোষ্ঠীর এজেন্ট হয়ে - এটা বুঝতে আওয়ামীলীগের আধিকারিকের এত দেরি লাগে কেন? ১৯৯৬ এর জনতার মঞ্চের একজন উপস্থাপক হিসেবে আমি এর ক্লীয়ার-কাট জবাব আশা করছি। নইলে আমার সময় আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হোক - ওগুলো অনেক দামি - অনেক কিছুই হারাতে হয়েছে জীবন থেকে ওই মহামূল্যবান সময়গুলোর জন্য। তখন যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তাদেরকে 'ক্ষমতা'র ভাগিদার দেখার জন্যে সেই আন্দোলন করিনি।

লেখক: আইটি প্রফেশনাল, নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :