বগুড়ায় অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে ‘প্রভাতফেরী’

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৩ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৬

এনাম আহমেদ, ঢাকাটাইমস

অসহায় মানসিক প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছে বগুড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রভাতফেরী। সংগঠনটির পক্ষ থেকে একজন প্রতিবন্ধীকে নোংরা পরিবেশ থেকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অপরিচ্ছন্ন থাকা এই প্রতিবন্ধীর মাথার চুল কেটে গোসল করিয়ে তাকে পরিচ্ছন্ন পোশাকে সাজিয়েছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা ১১টায় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা এই কাজে অংশ নেন।

স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে বগুড়া শহরের সরকারির আজিজুল হক কলেজের সামনের সড়কের ফাঁকা জায়গায় গাছের নিচে বসবাস শুরু করেন মানসিক প্রতিবন্ধী এই মানুষটি। তিনি কোথায় থেকে সেখানে এসেছেন কেউ বলতে পারেন না। রোদ বৃষ্টি ঝড় সহ্য করে তিনি সেখানে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন।

একদিন বগুড়ার গণমাধ্যমকর্মী প্রতীক ওমর তার ফেসবুক আইডিতে ওই প্রতিবন্ধীর ছবি এবং লোকেশনসহ বিস্তারিত লিখে পোস্ট করেন। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন লোকজন প্রতিবন্ধীকে খাবার এবং পোশাক দিয়ে যান। কিন্তু তার শারীরিক অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিচ্ছন্ন বিছানা থেকে তিনি মুক্তি পাচ্ছিলেন না। বগুড়ার প্রভাতফেরী সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার এই মানুষটি অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন থেকেও রক্ষা পেলেন। পাশাপাশি তাকে প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

সংগঠনের কর্মী জোবায়ের বলেন, লোকটি শারীরিকভাবে খুব অপরিচ্ছন্ন ছিল। মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার গায়ে হাত দেয়া যাচ্ছিল না। এক প্রকার জোর করেই নরসুন্দরের সহযোগিতায় আমরা তার মাথার জট বাঁধা চুল কেটে দিয়েছি। এরপর আমরা তাকে গোসল করিয়ে দেই।

তিনি বলেন, একজন অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করতে পেরে ভালো লাগছে।

সংগঠনের সভাপতি মহান রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা নাহিদ ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমকর্মী প্রতীক ওমর ভাইয়ের পোস্টে বিস্তারিত দেখে আমরা এই মানুষটির জন্য কিছু করার পরিকল্পনা করি। আসলে এখানে এইভাবে লোকটি থাকলে শুধু তার নিজেরই ক্ষতি হবে না। আমাদেরও ক্ষতি। তিনি আশপাশের খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছিলেন। এটাতে আমাদের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া এভাবে অস্বাস্থ্যকরভাবে থাকলে তার শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাবে। তিনি যেন রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট না পান সেই ব্যবস্থা করবো। আজ তাকে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। তাকে মানসিক এবং মেডিসিন দুই বিভাগের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো চিকিৎসার জন্য।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/কেএম)