করোনার প্রভাবে উপার্জন কম ছাতা মেরামতকারিদের

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২০, ১৪:০৪

বর্ষার শুরুতে কখনো থেমে থেমে, আবার কখনো একটানা মুষলধারে ভারী বর্ষণ হতেই থাকে। এ সময় ছাতা ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুনো মুশকিল। তাই এসময়টা ছাতার চাহিদা বেড়ে যায়। হঠাৎ ছাতা ভেঙে কিংবা ফুটো হয়ে গেলেই ছুটে যেতে হয় ছাতা মেরামতকারিদের কাছে। তাই এসময় বেড়ে যায় ছাতা মেরামতকারিদের ব্যস্ততা। কিন্তু করোনার প্রভাবে মানুষ তেমন বের না হওয়ায় তাদেরও কাজ কম হচ্ছে।

বছরের অন্য সময়গুলোতে ছাতা মেরামতের কাজ না থাকলেও বর্ষার শুরু থেকেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কারিগররা। এসময় প্রতিদিন একেকজন কারিগর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন। তবে বছরের অন্য সময়ে অনেক কারিগরই ছাতা প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। করোনার কারণে এ বছর তাদের উপার্জন কম হচ্ছে।

কথা হয় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌরসদর বাজারে ছাতা মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকা কয়েকজন কারিগরের সঙ্গে। পৌরসদরের ন্যাশনাল ব্যাংকের নিচে বসে ছাতা মেরামত করছেন আবদুল কাদির নামের একজন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরের মতলবপুর নান্দলা গ্রামে। ২৫-৩০ বছর ধরে তিনি এ কাজের সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু কি রোগ আইলো, মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বের হয়না। কাজ-কাম কম হচ্ছে।’

একই জায়গায় বসা আরেক কারিগর অমরপুর গ্রামের চাঁন মিয়া। তিনিও দুই যুগ ধরে এ কাজ করে আসছেন। আজ এ বাজার, কাল ও বাজারে ছাতা মেরামত করে সংসার চলে তার। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসা তেমন ভালো যাচ্ছেনা বলে জানান তিনি।

তারা জানান, এক সময় বর্ষা মৌসুমে প্রচুর কাজ থাকত। অন্য মৌসুমে কৃষিকাজ কিংবা ছাতা কোম্পানিতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা। কিন্তু কালের বিবর্তনে পেশা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। তারা বয়োবৃদ্ধ হয়েছেন, অন্য কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে এ পেশাতেই পড়ে রয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :