‘বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সবধরনের প্রস্তুতি আছে’

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ১৮:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি। বলেছেন, এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু অথ্যাৎ গত এপ্রিল মাস হতে বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে। মানবতার জননী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সকলেকে প্রস্তুতি বলা হয়েছে।

রবিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান একেএম এনামুল হক শামীম।

এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং টাস্কফোর্স প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আজও ২২ জেলার জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। আমাদের মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষনিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। অর্থাৎ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন সমন্বনিতভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করছে।

একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, আপনারা জানেন সারাদেশে বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩০টি জেলার ৫৪টি ভাঙন এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙন এলাকাগুলো চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক স্থানে স্থায়ী সমাধানও করা হয়েছে, বাকি প্রত্যেকটি ভাঙন এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প প্রণনয় এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

একেএম এনামুল হক শামীম আরও বলেন, বাংলাদেশের বন্যা সৃষ্টির প্রাকৃতির সঙ্গে আশপাশের কয়েকটি দেশও অনেকাংশে দায়ী। ঐসব দেশের ঢলের পানিতে আমাদের বেশ কিছু এলাকার বন্যা হয়। ইতিমধ্যে ভারী ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনা- এই চার নদীর পানি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, সিরাজগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিচ্ছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও অত্যন্ত সক্রিয়। আশা করছি, খুব কয়েক দিনের মধ্যে ঐসব এলাকার পানি নেমে আসবে।

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আরও বলেন, বন্যায় ১৫ টি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলাগুলো হলো: কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর। এসব জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সেসব এলাকায় পানি বেশি হয়, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায়ও সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। যার কারণে কোথাও বন্যা হলেও ক্ষতি পরিমান কম হবে ইনশাল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানবতার পাশে দাঁড়ায়। এবারও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/আরএ/জেবি)