কোম্পানীগঞ্জে সরকারি চাকরিজীবীর নিয়মিত বয়স্কভাতা!

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ১৯:৫৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে বিশেষ বয়স্কভাতা তুলে ফেঁসে গেছেন দিলিপ চন্দ্র মজুমদার নামে এক শিক্ষক। তিনি উপজেলার চরএলাহী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল গ্রামের আশারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তিনি একই এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিলিপ ডাক্তার বাড়ির বাসিন্দা।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক দিলিপ চন্দ্র মজুমদার সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করে স্থানীয় মেম্বার মোজাম্মেল হোসেনের যোগসাজসে গত দু’বছর যাবত বিশেষ বয়স্ক ভাতার টাকা তুলছিলেন। একই সময় শিক্ষক দিলিপ চন্দ্র মজুমদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে জনতা ব্যাংক বসুরহাট শাখা থেকে নিয়মিত মাসিক বেতন তুলে আসছেন।

বিষয়টি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জানাজানি হলে রবিবার সকালে শিক্ষক দিলিপ চন্দ্র মজুমদারকে অফিসে ডেকে আনা হয়। তিনি তার দোষ ও ভুল স্বীকার করলে সমাজসেবা অফিস তার কাছ থেকে দলিত, হরিজন ও বেদে জনগোষ্টীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির বয়স্ক ভাতা উত্তোলনের বই (হিসাব নং-৩৮০২৬০১০১৫০০১) জব্দ করা হয়।

দিলিপ গত ৬ জুলাই সোনালী ব্যাংক বসুরহাট শাখা থেকে বয়স্ক ভাতার ছয় হাজার টাকা এবং একই দিন জনতা ব্যংক বসুরহাট শাখা থেকে জুন মাসের বেতনের টাকা তুলেছেন।

শিক্ষক দিলিপ চন্দ্র মজুমদার সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিশেষ বয়স্ক ভাতা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল ও অন্যায় হয়ে গেছে। এ কাজের জন্য আমি লজ্জিত ও ক্ষমা প্রার্থী।

চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও কিভাবে দিলিপ চন্দ্র মজুমদার বিশেষ বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন তা আমার জানা নেই। স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোজাম্মেল হোসেন দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এ ধরনের অপকর্ম করেছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে একই সময় সরকারি আরেকটি সংস্থা থেকে ভাতা উত্তোলন সম্পূর্ণ অন্যায় এবং গর্হিত কাজ। অভিযোগ পেলে শিক্ষক দিলিপ চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/কেএম)