'করোনা ঠেকাতে পশুরহাটে কঠোর থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী'

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ২০:২৫ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০, ২০:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

করোনাভাইসের সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পশুরহাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।  এর পাশাপাশি পশুরহাটের প্রবেশপথে হাত ধোয়ার (বেসিনসহ হ্যান্ড সেনিটাইজারের) ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্রেতাদের হাটে প্রবেশের আগে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

রবিবার দুপুরে সচিবলায়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজাহা (২০২০) উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন বিষয়ে আজ দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পশুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। গাইড লাইন বাস্তবায়নের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ঢাকা শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরশেন ব্যবস্থা নেবে। এ বছর অনলাইনে কেনাকাটার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, কেরবানির হাটে ইজারাদারদের ব্যবস্থায় গেইটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা (বেসিনসহ) হ্যান্ড সিনিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্রেতাদের মাস্ক পরে হাটে আসতে হবে। কোন ক্রেতা মাস্ক পরে না আসলে ইজারাদারদের কাছে সংরক্ষিত মাস্ক কিনে হাটে ঢুকতে হবে। হাটের কাছে ব্যাংকের বুথ থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাটের উপরে পশুর হাট দেওয়া যাবে না।  পশুর ট্রাক কোন হাটে যাবে তা ওই ট্রাকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা থাকবে। পশু ট্রাক অন্য কোথাও থামানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতি বছরের মত এবারও জাল টাকা, অজ্ঞানপার্টি ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে গরুর ব্যাপারীদের নিরাপত্তা দেবে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, নদীপথে ফেরি, লঞ্চ ও জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা যাবে না। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করলে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ ব্যবস্থা নেবে। নদী পথে পশুর ট্রলার অতিরিক্ত বোঝাই না হয় সে ব্যাপারে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ লক্ষ্য রাখবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও যথাযথভাবে বিপণনের বিষয়ে শিল্পমন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।  গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি অন্যন্য বারের চেয়ে কম সময় বন্ধ রাখা যেতে পারে। শ্রমিকদের বেতন বোনাস যথাসময়ে পরিশোধে বিজিএমই এবং কারখানার মালিক ব্যবস্থা নেবেন।

এবারের ঈদুল আজাহার নামাজের জামাত মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এএ/ইএস