খেলাপিদের সুযোগ আরও বাড়লে ঝুঁকিতে পড়বে ব্যাংক খাত

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত না হওয়ার যে সুযোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন দিচ্ছে, সেটি আর না বাড়ানোর পক্ষে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল।

ঢাকাটাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপনে তমাল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এই আহবান করেন। পারভেজ তমালের মতে, সেপ্টেম্বর মাসের পরও যদি এই সুযোগ বাড়ানো হয় তবে ব্যাংক খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

এর আগে করোনা সঙ্কটের কারণে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশের নির্দেশনা দেয় দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

পারভেজ তমাল ‘সেপ্টেম্বর মাসের পরও এ সুযোগ বাড়ানো হলে ব্যাংক খাত ঝুঁকিতে পড়বে। ঋণ খেলাপিরা টাকা না দিলে ক্যাশ ফ্লো কমে যাবে। তখন নতুন টাকা ছাড়া অর্থনীতির গতি বাড়বে না।

রপ্তানি কমে গেলেও দেশের অভ্যন্তরীন বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলেও মনে করছেন নতুন প্রজন্মের ব্যাংক এনআরবিসির চেয়ারম্যান।

পারভেজ তমাল বলেন, ‘করোনার কারণে ব্যাংকখাতে নেটিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্যাংকগুলোর আয় কমে গেছে। তবে এর জন্য ব্যাংকের কর্মী ছাঁটাই করা বা বেতন কমানো অমানবিক কাজ। আমার ব্যাংকে কোনও কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কমানোর চিন্তাই আমরা করি না।’

এনআরবিসি চেয়ারম্যান জানান, তার ব্যাংক গত ছয়মাসে মুনাফা করলেও তা ছিলো গতবছরের চেয়ে কম। আর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও আগামী ছয় মাসেও মুনাফা হবে বলেও মনে করছেন তিনি।

মুনাফা ধরে রাখতে কর্মী ছাঁটেইয়ের পরিবর্তে খরচ কমানো ও ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তমাল বলেন, ‘আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় যে কাজগুলি রয়েছে সেটি অব্যাহত রেখেছি। করোনা সংকটে আমরা মানুষের পাশে আছি। করোনা বাংলাদেশ থেকে স্বল্প সময়ে নির্মূল হবে না তাই বলে কাজকর্ম বন্ধ রাখলে চলবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে।’

প্রবাসী এ ব্যবসায়ী জানান, উন্নত দেশগুলোতে মানুষ ব্যাংকের শাখাগুলোতে ভিড় করে না। সেখানে ব্যাংকে হিসাব খোলা, লোন প্রসেসিংসহ সব সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। তিনি নিজের আইটি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কারণে ঘরে বসে মানুষ কিভাবে ব্যাংকিং সেবা পেতে পারে সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/ডিএম)