উপসর্গহীন আক্রান্তদের ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে করোনা
করোনা সংক্রমণের একেবারে শুরুর দিকে জানানো হয়েছিল, কোন কোন উপসর্গ দেখতে বুঝবেন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীকালে আবার জানা গেল, কোনও উপসর্গ ছাড়াও কোনও ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। এবার গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। উপসর্গহীন আক্রান্তের শরীরে নাকি নানা জটিলতা তৈরি করতে পারে করোনভাইরাস। এমন কি মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে ফুসফুসেরও!
একাধিক লক্ষণযুক্ত করোনা আক্রান্তদের তুলনায় উপসর্গহীন রোগীরা কম দুশ্চিন্তাই করে থাকেন। কারণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও যেমন বেশি, তেমনই চিকিৎসার ঝক্কিও কম। অনেক সময় হোম কোয়ারেন্টাইনেই সুস্থ হয়ে উঠছেন তারা। এদের মধ্যে এতদিন অনেকেরই ধারণা ছিল উপসর্গহীন হলে হয়তো শরীরের সেভাবে ক্ষতি করে না। কিন্তু নতুন গবেষণায় সেই ধারণা ভুলই প্রমাণ হচ্ছে। তাহলে সত্যিটা কী?
চীনের উহান শহর থেকেই প্রথম ছড়ায় করোনাভাইরাস। সেখানেই এক গবেষণায় উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের ফুসফুসে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। কোনও লক্ষণ ছাড়াই শরীরে থাবা বসিয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হচ্ছে এই ভাইরাস। যা নিঃসন্দেহে বেশ উদ্বেগের। কারণ করোনাকে জয় করতে পারলেও তা আপনার শরীরে এমন প্রভাব ফেলতে পারে, যা আপনাকে আজীবন কষ্ট দিতে পারে।
গবেষণা করে দেখা গেছে, লক্ষণহীন আক্রান্তের ফুসফুসের টিস্যুতে ক্ষত রয়েছে। একাধিক কারণে এমনটা হতে পারে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট কিংবা নিউমোনিয়ায় ভুগছেন না এমন উপসর্গহীন কোভিড রোগীর ফুসফুসে এই ক্ষতই চিন্তা বাড়িয়েছে। অর্থাৎ নিঃশব্দে করোনা শরীরের চূড়ান্ত ক্ষতি করে তবেই বিদায় নিচ্ছে।
কিন্তু ঠিক কোন বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যেতে পারে? স্পষ্টভাবে ধরতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। একই বয়সের একই শারীরিক গঠনের দুই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন ফল হতে পারে বলেই জানানো হচ্ছে। তার উপসর্গহীনরা তুলনামূলক ‘সৌভাগ্যবান’, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এজেড)