আগস্টে কন্ডিশনিং ক্যাম্প: নান্নু

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ১১:৪৮

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

করোনার প্রকোপ কাটিয়ে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজের মাধ্যমে বাইশ গজে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে এখনো বোর্ডের নির্দেশনায় কোন ক্যাম্প শুরু করতে পারেনি টাইগার ক্রিকেটাররা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে বেশ সচেষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছে ক্রিকেটাররা, নিজেদের মত করে চলছে স্কিল ট্রেনিং। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছেন আগস্টের মাঝামাঝিতেই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সবাইকে এক করতে চান।

কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পরই স্থগিত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) আয়োজনের পরিকল্পনা। আর এভাবে এগোতে পারলে আগের অবস্থানে ফিরতে বেশিশ সময় লাগবে না বলেও মত তার। জাতীয় দলের পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্পের জন্য ক্রিকেটারদের তালিকা চূড়ান্ত রেখেছে তারা।

এক ভিডিও বার্তায় গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে নান্নু বলেন, ‘আমরা নির্বাচক প্যানেল ৩৮ জনের একটা পুল তৈরি  করেছিলাম কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য। যখনই ক্যাম্প শুরু হবে প্লেয়ারদের ডাকা হবে। সাথে ২৬ জনের এইচপি ক্যাম্পের তালিকাও তৈরি আছে। করোনার কারণে এইচপিটাও আমরা এবার যথাসময়ে শুরু করতে পারিনি। আমি আশা করছি এইপি প্রোগ্রামটা আগস্টের মাঝামাঝি থেকে শুরু করতে পারি। আমাদের জাতীয় দল ‘এ’ দলের পাইপলাইন কিন্তু এই এইচপি।’

নান্নু বলেন, ‘ফলে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যদি এটা শুর করা যায় তবে একটা ধারাবাহিকতা থাকবে। আর ডিপিএল যদি শুরু হয় ওখান থেকে সেরা পারফর্মারদেরও আমরা অন্তর্ভুক্ত করবো এইচপিতে। আসলে সব নির্ভর করছে পরিস্থিতি কোন দিয়ে যায় সেটার উপর। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ক্রিকেটাররাও মাঠে ফিরে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারলে আমি মনে করি তাড়াতাড়িই আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।’

প্রায় চার মাস ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছে ক্রিকেটাররা। ব্যক্তিগত উুদ্যোগে গুহবন্দী সনময়টায় ফিটনেস নিয়েই কিছুটা কাজ করতে পেরেছে তারা। স্কিল নিয়ে খুব বেশি কাজের সুযোগ মেলেনি কারোরই। লম্বা বিরতিতে ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে সেগুলো ঘোচানো সম্ভব বলে মনে করেন নান্নু। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে আগস্টের মাঝামাঝিতেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করতে পারি। সময় মতো কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করতে পারলে ক্রিকেটারদের হারিয়ে যাওয়া স্পিরিট, ফিটনেস ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’

(ঢাকাটাইমস/১৩ জুলাই/এআইএ)