অবাক নাকের নৃগোষ্ঠী ‘আপাতানি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২০, ১৪:৪৩

উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচলের প্রধান নৃগোষ্ঠী আপাতানি। বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনযাত্রা, নারীদের নাকের অলঙ্কার আর ট্যাটুর জন্য ভারতে তারা আলাদাভাবে পরিচিত। প্রতিবেদনে থাকছে জিরো উপত্যকার এই বাসিন্দাদের গল্প।

অরুণাচল প্রদেশের জিরো উপত্যকায় ৩৭ হাজারের বেশি আপাতানির বসবাস। তাদের রয়েছে নিজস্ব জীবনযাত্রা, ভূমি ব্যবস্থাপনা। বাস্তুসংস্থান আর প্রকৃতি রক্ষায় রয়েছে গভীর জ্ঞান।

মুখে ট্যাটু আর নাকের ঐতিহ্যবাহী প্লাগের জন্য সারা বিশ্বই আলাদা করে চেনে তাদের। এই প্লাগটির নাম ইয়াপিং হুলো। এটি তৈরি হয় গাছের কাঠ থেকে। ১৯৭০ এর দশক থেকে নাকে এমন প্লাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বয়স্ক নারীদেরই এখনও ইয়াপিং হুলো পরতে দেখা যায়।

কেন এই প্লাগ পরতেন সেখানকার নারীরা? কারো মতে সৌন্দর্যের জন্য, কারো মতে প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতিদের হাত থেকে নিজেদের নারীদের রক্ষা করতে এর প্রচলন শুরু। কারণ যা-ই হোক, ধীরে ধীরে এই ঐতিহ্য থেকে সরে আসছেন আপাতানি নারীরা। সেখানকার নতুন আকর্ষণ এখন কিউই ফলের ওয়াইন।

অরুণাচলের অধিবাসীরা কিউইর চাষ বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছেন তাখে রিতা। কৃষি প্রকৌশলীর ছাত্রী রিতা ২০১৬ সালে নিজের গ্রামে মদের কারখানায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। এক বছর পর তিনি নিজের বাগান আর রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা কিউই থেকে নতুন মদ তৈরি করেন। রিতা এরিমধ্যে স্থানীয় কৃষকদর কিউই উৎপাদনে ও চাষে সহযোগিতা করছেন। দিচ্ছেন ফলটি বিক্রির নিশ্চয়তাও। তাদের মতে, কিউই উৎপাদন করা নিজের সন্তান লালনের মতো। তিন বছর ভালবাসা আর যত্নে বড় করতে হবে তাদের। তারপরই প্রথম ফলন মিলবে।

ঢাকা টাইমস/১৩জুলাই/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :