ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে রাণীনগরে

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ১৫:১০

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ)

লেখা-পড়ার পাশাপাশি বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার রণজনিয়া গ্রামের তরুণ উদ্দ্যোক্তা নাজমুল হক নাইসের। চার বছর আগে মাত্র ১০ কাটা জমিতে করেছিলেন ড্রাগন ফলের বাগান। এখন সেই বাগানের পরিসর বেড়ে হয়েছে ১০ বিঘা। ভালো ফলন ও ভালো দামের কারণে তার মতো অনেকেই ড্রাগনফল চাষী হয়ে উঠেছেন এলাকায়। উপজেলা জুড়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে এখন।

রাণীনগর উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের রণজনিয়া গ্রামের যুবক নাজমুল হক নাইস নিজস্ব  নয় বিঘা জমিতে বাগান তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করছেন। তার বাগানে  আছে তিন জাতের ড্রাগন ফলের গাছ। নাইস জানান, এই ফল চাষে খরচ খুবই কম লাগে। রোগবালাই নেই বললেই চলে। তারপরও বাগান পরিচর্চার জন্য ৪ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, বছরে আট মাস ধরে ফল পাওয়া যায়। গাছে ফুল আসার ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর পর ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। এটি একটি অধিক লাভজনক ফল। ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি বাজারে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। নাটোর, বগুড়া, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ফল পাইকারী দেওয়া হচ্ছে।

নাইস ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও অনেকে গড়ে তুলেছেন ড্রাগন ফলের বাগান। কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন তারা।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ড্রাগন লাভজনক একটি ফল। এ ফল চাষে খরচ কম লাভ বেশি। উপজেলায় ড্রাগন ফল চাষ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলা জুড়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় বাগান গড়ে উঠেছে।বাগানগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। কৃষি অফিস থেকে তাদের সরকারি ভাবে সহযোগীতাসহ সার্বিক সহযোগীতা করে আসছি।

ঢাকাটাইম/১৩জুালাই/পিএল