টম মুডির বিশ্ব টি-টোয়েন্টি একাদশে বহু চমক

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ১৬:৩০

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের সেরা দল বেছে নিলেন টম মুডি। নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে খেলার মতো ক্রিকেটারদের নিয়েছেন তিনি। গত ১০ বছরের পারফরম্যান্সকে ধরেননি। তাকাননি ক্রিকেটারদের রেকর্ডের দিকেও। তবে তার পরেও মুডির তৈরি দল জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। কারণ, তাঁর দলে নেই সাকিব আল হাসান, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ক্রিস গেইলের মতো তারকারা। তাহলে দেখে নেয়া যাক টম মুডির বিশ্বসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে কারা আছেন?

ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া): আক্রমণাত্মক ওপেনার। যে কোনও বোলিং আক্রমণকে ছিন্নভিন্ন করার ক্ষমতা রাখেন। অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁ-হাতি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে দুরন্ত ধারাবাহিক থেকেছেন। অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন আইপিএল শিরোপা।

রোহিত শর্মা (ভারত): টম মুডির দলে তিনিই অধিনায়ক। মুডির কথায়, আইপিএলের সফলতম ক্যাপ্টেন বলেই দায়িত্বে হিটম্যান। চারবার আইপিএল জিতেছেন রোহিত। আর ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি কতটা বিধ্বংসী তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।

বিরাট কোহলি (ভারত): তিনে অতি অবশ্যই চেজমাস্টার। রান তাড়ার মুন্সিয়ানা ক্রিকেটমহলে অজানা নয় কারও। পাশাপাশি, যে কোনও বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বড় ইনিংস গড়ার ক্ষমতা রয়েছে। আইপিএলেও ধারাবাহিক তিনি। টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মানের মালিক তিনি। তবে তাঁকে দলে রেখেও অধিনায়ক না করায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা): এই ফরম্যাটে তুলনাহীন। যে কোনও দলের সম্পদ। বোলারদের মনোবল চুরমার করায় সিদ্ধহস্ত। উইকেটের চারদিকে শট নিতে পারেন অনায়াসে। তাই বলা হয় ৩৬০ ডিগ্রির ব্যাটসম্যান। আক্রমণাত্মক এবিডি ক্রিজে থাকা মানেই চাপ বাড়ে বোলারদের।

নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): প্রাথমিকভাবে মুডির পছন্দ ছিল জস বাটলার। কিন্তু মিডল অর্ডারে একজন বাঁ-হাতিকে রাখার গুরুত্ব উপলব্ধি করছেন কোচ হিসেবে। আর তাই ক্যারিবিয়ান তরুণ নিকোলাস পুরানকে রেখেছেন দলে। এতে ডানহাতি-বাঁহাতির বৈচিত্রও থাকবে মিডল অর্ডারে। ইনি উইকেটকিপারও।

আন্দ্রে রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ছয়ে আর এক ক্যারিবিয়ান। ইনি বাহুবলী রাসেল। অবিশ্বাস্য ক্ষমতায় যে কোনও মাঠে ছয় মারতে পারেন অবহেলায়। বড় শটে দক্ষ। আবার বল হাতেও কার্যকরী। জোরে বোলিংয়ে চাপ রাখতে পারেন বিপক্ষের উপরে। এই সময় কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।

সুনীল নারিন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): আরও এক ক্যারিবিয়ান। আরও এক অলরাউন্ডার। নারিন প্রয়োজনে ওপেন করতে পারেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে ওপেনার হিসেবে তিনি রীতিমতো সফলও। তবে নারিনের আসল ভেলকি বোলিংয়ে। মিস্ট্রি স্পিনার তিনি। বল কোন দিকে ঘুরবে, বুঝতেই পারেন না ব্যাটসম্যানরা।

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া): অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার এখন বিশ্বের সেরাদের মধ্যে পড়েন। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তিনি সমীহ জাগানো বোলার।

রশিদ খান (আফগানিস্তান): রিস্ট স্পিনার এই ফরম্যাটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার আইপিএলের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাড়া ফেলেছেন স্পিনের কারিকুরিতে। শুধু লেগস্পিন নয়, বৈচিত্রও রয়েছে তাঁর হাতে। যার ফলে রশিদকে মারতে গেলে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

জোফ্রা আর্চার (ইংল্যান্ড): ইংল্যান্ডের পেসার ক্রমশ নিজেকে চেনাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। হয়ে উঠছেন অপরিহার্য। মুডি সেই কারণেই উঠতি প্রতিভাকে রেখেছেন দলে।

জ্যাসপ্রীত বুমরাহ (ভারত): এই ফরম্যাটেই শুধু নয়, তিন ঘরানার ক্রিকেটেই বিশ্বের সেরা দলে এখন থাকবেন এই পেসার। আইপিএল থেকে উত্থান। ক্রমশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়া ফেলা। এই ফরম্যাটে ডেথ ওভারে বুমরা মারাত্মক। বৈচিত্রে তিনি যে কোনও ক্যাপ্টেনের সেরা ভরসা।

রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত): প্রথম এগারোয় নেই। কিন্তু দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। মুডির কথায়, দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্যই মুডি তাঁকে রেখেছেন। পাশাপাশি, দরকার পড়লে ব্যাট হাতে ধুমধাড়াক্কা যেমন পারেন, তেমনই বাঁ-হাতি স্পিনে ব্যাটসম্যানকে আটকে রাখতেও পারেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩ জুলাই/এসইউএল)