মাথা গুজার ঠাঁই নেই বৃদ্ধা ছম খাতুনের

খোরশেদ আলম, শেরপুর
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২০, ১৬:৩৭

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও চতল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী ছম খাতুন (৭৪)। ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চার নাতি ও মেয়েকে নিয়ে চলেন তিনি। একদিন ভিক্ষা করতে বের না হলে ঘরে তার চুলা জ্বলেনা। বসতভিটার পাঁচ শতাংশ জমিতে মাটির একটি দেয়াল ঘর ছাড়া সহায়-সম্বল বলতে তার আর নেই কিছু। সে ঘরটিও গত প্রায় ১০ বছর আগে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। টাকার অভাবে মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তাই অন্যের বাড়িতে থেকে দিন যাপন করছেন তিনি।

ছম খাতুন জানান, দুই কন্যা সন্তান রেখে দেশ স্বাধীনের আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। অন্যের বাড়িতে কাজ করে দুই সন্তানকে লালন-পালন করে বিবাহ দিয়েছেন। বড় কন্যা আলেছা খাতুনের ঘরে তিন সন্তান। ছোট মেয়ে ছালেমা খাতুন চার সন্তানের জননী। ছালেমা খাতুনের স্বামী এখন নিরুদ্দেশ। তাই চার নাতি ও মেয়ে এখন তার কাছেই থাকেন। ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে চলে তার সংসার। কিন্তু বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন, হেটে যেতেই শরীর কাঁপে তার। তবুও প্রতিদিন বের হতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি করতে।

তিনি জানান, তার বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ঘরটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সমাজপতিদের দারে দারে ঘুরেছেন অনেক। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। সরকারিভাবে তার পরিবারের জন্য মাথা গুজার ঠাঁই করে দেওয়া হলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞ থাকবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, কেউ আমাকে এ সম্পর্কে জানায় নি। তবে সামনে সরকারি ঘর বরাদ্দ এলে তাকে দেওয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :