গাভাস্কারের পরামর্শে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছিলাম: ইনজামাম

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ১৬:৪২

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

রান আসছিল না। দিশেহারা লাগছিল বাইশ গজে। সেই সময় সুনীল গাভাস্কারের পরামর্শ হয়ে উঠেছিল পরিত্রাতা। সেই ঘটনাই প্রকাশ্যে আনলেন ইনজামাম উল হক।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সাফল্যের পর ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলাম। ওটা ছিল ইংল্যান্ডে আমার প্রথম সফর। ওখানের পিচে কীভাবে খেলতে হয় সেই সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। শর্ট-পিচড ডেলিভারি একেবারেই খেলতে পারছিলাম না।’

সেই সময় ইংল্যান্ডে এক চ্যারিটি ম্যাচে সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে দেখা হয় ইনজির। সেখানেই পরামর্শ চান লিটল মাস্টারের। সাহায্য করেন গাভাস্কার। তাতেই ঘটে বাজিমাত। গাভাস্কারের পরামর্শ মেনে চলে বাইশ গজে আত্মবিশ্বাস ফেরে ইনজামামের।

ঠিক কী বলেছিলেন গাভাস্কার? ইনজি বলেছেন, ‘মৌসুমের মাঝামাঝি হয়ে গিয়েছিল। তখন ইংল্যান্ডে এক চ্যারিটি ম্যাচে গাভাস্কারের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা দুজনেই ওই ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সুনীল ভাই, শর্ট-পিচড বল খেলতে সমস্যা হচ্ছে। আমার কী করা উচিত? গ্রেটদের তো রাস্তাও গ্রেট হয়। গাভাস্কার বলেছিলেন একটা ছোট কাজ করতে। তা হলো, শর্ট-পিচড ডেলিভারি বা বাউন্সারের ব্যাপারে ব্যাটিংয়ের সময় একদম না ভাবা। উনি বলেছিলেন যে ব্যাটিংয়ের সময় এগুলোর কথা ভাবলে ফাঁদে পড়ে যাব। বলেছিলেন, বাউন্সার এলে তা তো নিজে থেকেই ধরতে পারবে সঙ্গে সঙ্গে। তাই তা নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’

আর সেভাবেই এরপর থেকে নেটে খাটতে শুরু করেন ইনজি। তাঁর কথায়, ‘নেটে ওইভাবেই অনুশীলন শুরু করে দিই। মানসিকভাবে জোর বাড়ানোয় খাটতে থাকি। নিজেকে বলি যে, শর্টপিচ বল নিয়ে আর ভাবব না। আর তার পর থেকে অবসরের সময় পর্যন্ত আর কখনও সমস্যায় পড়িনি।’ ৩৭৮ এক দিনের ম্যাচ ও ১২০ টেস্টে ইনজি করেছেন ১১৭৩৯ ও ৮৮৩০ রান।

(ঢাকাটাইমস/১৩ জুলাই/এসইউএল)