চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আর অসুবিধা নেই ম্যানসিটির

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ২০:৩৫

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে নামার আগে বয়ে এসেছিল দুঃসংবাদটা। স্পন্সরশিপ রেভিনিউ নিয়ে আর্থিক স্বচ্ছতার নিয়ম লঙ্ঘন করায় ম্যানচেস্টার সিটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ সমস্ত ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে আগামী দুই মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল উয়েফা। পরিপ্রেক্ষিতে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আবেদন করেছিল ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। শুনানির পর সোমবার ঘোষিত হলো রায়।

কোর্ট অব আরবিট্রেশনে খারিজ হয়ে গেল ম্যানসিটির সেই নিষেধাজ্ঞা। যা আগস্টে প্রি-কোয়ার্টারের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে নামার আগে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে পেপ গুয়ার্দিওলার ছেলেদের। এমনিতেই প্রথম লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে নিয়ে কোয়ার্টারে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ তাঁরা। দুই মৌসুম ব্যানের পাশাপাশি ম্যানসিটিকে ৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছিল উয়েফা। সেই জরিমানার অর্থ ১০ মিলিয়ন ইউরোয় কমিয়ে এনেছে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা ক্যাস।

এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটির ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় দানের বিষয়টি ক্লাবের লিগ্যাল অ্যাডভাইজররা পরবর্তীতে বিস্তারিত খতিয়ে দেখবেন। তবে ক্লাবের ক্লাবের ঐতিহ্যকে মর্যাদা দিয়ে উনারা যে রায় দিয়েছেন ক্লাব সেটাকে স্বাগত জানায়। প্যানেল মেম্বারদের ক্লাবের তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, প্রিমিয়ার লিগ খেতাব ধরে রাখতে না পারলেও শনিবার ব্রিটনকে ৫-০ গোলে হারিয়ে পাকাপাকিভাবে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে স্কাই ব্লুজরা। তবে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায়ের উপর নির্ভর করছিল সমস্ত বিষয়টা। সোমবারের রায়ে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ব্যাপারে আর কোনো বাধা রইল না তাঁদের।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আবুধাবির রয়্যাল পরিবারের মালিকানাধীন ইংল্যান্ডের ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিয়ম লঙ্ঘনের। ২০১৮ নভেম্বরে জার্মানির এক ম্যাগাজিনে সেই সংক্রান্ত ক্লাবের ই-মেল ও বিভিন্ন নথি প্রকাশিত হওয়ায় নড়েচড়ে বসে উয়েফা। পর্তুগালের একটি হ্যাকার গ্রুপ এ ব্যাপারে ওই ম্যাগাজিনটিকে সহযোগিতা করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে ঘটনায় তদন্ত শুরু করে উয়েফা। তদন্তের নির্যাস হিসেবে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আগামী দুই মৌসুম ম্যানসিটিকে ইউরোপিয়ান সমস্ত প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং বডি।

(ঢাকাটাইমস/১৩ জুলাই/এসইউএল)