চট্টগ্রামে পশুর হাটগুলো সংক্রমণ শঙ্কামুক্ত করতে হবে: মেয়র

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ২১:১৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

এবার করোনা মহামারির ছোবলের মধ্যেই কোরবানি আসায় তা ধর্মীয় গাম্ভির্য ও আনুষ্ঠানিকতা রক্ষায় সীমিত ও নিয়ন্ত্রণমূলক বিধি-ব্যবস্থা মেনে পালিত হবে। এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে নগরীতে কোরবানির পশুর হাটগুলো সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দূর করা। তাই নগরীতে পশুর হাটগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণসহ শুধু নির্দিষ্ট স্থানে পশু বাঁধার খুঁটি, ছাউনি, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও জীবাণুনাশক সামগ্রী বিক্রির জন্য  নির্দিষ্ট দোকান, আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের ক্যাম্প ছাড়া আর কোনো ধরনের দোকানপাট বা স্থাপনা থাকবে না।

সোমবার সকালে টাইগারপাস্থ চসিক নগভনের সম্মেলন কক্ষে পশুরহাট ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, কোনো বয়স্ক ব্যক্তি এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু-কিশোর পশুর হাটে আসতে পারবেন না এবং পশু ক্রেতার সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জনের বেশি যাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, পশুর হাটগুলোতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় সেগুলো যথাযথভাবে পালন করবে।  

এ সময় মেয়র জানান, পশুর হাটে জীবাণুনাশক এবং  হ্যান্ডস্যানিটাইজারের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা থাকবে। এর বাইরে হাট ইজারাদাররা বিক্রেতাদেরকে ক্রেতাদের হাত ধোয়ার পানি, সাবান ও টিস্যু পেপার সরবরাহ ও শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা নেবেন। ক্রেতা বিক্রেতা প্রত্যেককেই অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতসহ হাটে প্রবেশমুখে ও হাটের ভিতরে মাস্ক ব্যবহার করুন, হাত ধুয়ে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন-লেখায় ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানোর ব্যবস্থা করবেন।

চসিকের পক্ষ থেকে পশুর রোগ-বালাই চিহ্নিত করার জন্য হাটগুলোতে চিকিৎসক থাকবেন এবং পশুর গোসল ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় পানির ব্যবস্থা, খাবার ও আবর্জনার জন্য নির্ধারিত স্থান থাকবে।

মেয়র বলেন, সরকার, প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবান্ধব পশুর হাট বসানোর সামগ্রিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের যে আবশ্যিক দায়িত্বগুলো রয়েছে তাও অবশ্যই পালন করতে হবে। আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। তা হলো দ্রুত পশু বেচা-কেনার বিষয়টি সম্পন্ন করতে হবে। কোনোভাবেই অহেতুক সময় ক্ষেপণ করা হলে লোকসমাগম ঠেকানো সম্ভব হবে না এবং এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকবে।

সিটি মেয়র সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা-বোনাস আগে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রায় ক্ষেত্রেই ঈদের দুয়েকদিন আগেই কর্মীদের বেতন-ভাতা-বোনাস দেয়া হতো। এর ফলে শেষের দিকে পশুর হাটগুলোতে ভীড় উপচে পড়ে। এবার যাতে সে ধরনের অবস্থার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য তিনি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এসময় কাউন্সিলর এ এফ এম কবির মানিক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, এস্টেট অফিসার এখলাস উদ্দিন আহমদ, ইজারাদারের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আজাদ, নজরুল ইসলাম মিন্টু, মোহাম্মদ জামসেদ, মোহাম্মদ ফারুক বাবুর্চি, আবদুর রশিদ লোকমান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/কেএম)