বাজিতপুরে নিখোঁজ রাব্বীর লাশ পাওয়া গেলো সেপটি ট্যাংকিতে

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২০, ১৮:৩৪

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কিশোরগেঞ্জর বাজিতপুরে গেল এক সপ্তাহ ধরে ইজি বাইকসহ রাব্বী (১৮) নামে এক চালক নিখোঁজ রয়েছেন। রাব্বী উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের রস্তমপুর গ্রামের নিলু মিয়ার ছেলে।

গত ৭ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইকসহ চালক রাব্বীর কোনো হদিস মিলছে না। মঙ্গলবার দুপুরে সন্দেহভাজন আসামি হাফানিয়া গ্রামের বাদলের ছেলে সাচ্চুর (১৮) বাড়ি সংলগ্ন মরহুম মোহন মেম্বারের বসত বাড়ির সেপটি ট্যাংকির নিচে রাব্বীর লাশ পাওয়া গেছে।

রাব্বীর লাশের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী সন্দেভাজন আসামি সাচ্চুর বাড়ি ভাংচুর করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাজিতপুর থানা পুলিশ লাশসহ সেপটি ট্যাংকি ঘেরাও করে রেখেছে। কাউকে লাশের কাছে পুলিশ যেতে দিচ্ছে না।

রাব্বীর স্বজনদের দাবি, একই ইউনিয়নের হাফানিয়া গ্রামের বাদলের ছেলে সাচ্চুসহ তার নেশাগ্রস্ত সঙ্গীরা অটোগাড়ির লোভে রাব্বীকে হত্যা করেছে। নিখোঁজ হওয়ার দিন রাতের আঁধারে হাফানিয়া ঈদগাহ মাঠের পাশে পাটক্ষেতে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে আসামির পাশের বাড়ির ট্যাংকির নিচে ফেলে রেখে দেয়।

নিহতের বড় ভাই এস এন সাদেক প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে রাব্বীকে খুঁজতে যাই। এর পর্যায়ে ট্যাংকির নিচে আমার ভাইয়ের দুই পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। এ কথা বলেই সাদেক কান্নায় ভেঙে পড়েন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকালের দিকে ইজি বাইকটিকে রিজার্ভ হিসেবে ভাড়া করে রাব্বীকে শহরে নিয়ে যান সাচ্চু। রাব্বীর পরিবারের ধারণা, সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ইজি বাইকটি চুরি করে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয়ায় রাব্বীকে হত্যা করা হয়। একইসঙ্গে ঘটনা দামাচাপা দিতে তার লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়।

ঘটনার পর থেকে সাচ্চুসহ পুরো পরিবার পলাতক। মাদকাসক্ত সাচ্চু হাফানিয়া গ্রামের সুলমানের নাতী।

অটোবাইকসহ রাব্বী নিখোঁজের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কাউকে আটক কিংবা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে থানা পুলিশ কোন ধরনের তৎপরতা দেখায়নি। পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাচ্চুর বিরদ্ধে অভিযোগ করলেও তার দাদা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং রাব্বীর পরিবার দারিদ্র হওয়ায় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি এতোদিন আমলে নেয়নি। এদিকে সাচ্চুর বাড়িতে খোজঁ নিলে তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বক্তব্য দিতে রাজী হয়নি ভাগলপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহাব উদ্দিন।

এলাকাবাসী এ নির্মম ঘটনার জন্য প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবি জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/কেএম)