চসিক পরিচ্ছন্নকর্মীদের মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিতে প্রতিজ্ঞ মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি বহুতল ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নগরীতে চসিকের আরো তিনটি সেবক কলোনিতে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণকাজ সমাপ্তির পথে। এভাবে সব পরিচ্ছন্নকর্মীর মাথাগোঁজার ঠাঁই তৈরি করে দিতে প্রতিজ্ঞার কথা জানান মেয়র।

মঙ্গলবার সকালে বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মেয়র।

আ জ ম নাছির বলেন, নগরীতে পর্যায়ক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রতিটি পরিবারকে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় এনে সরকার দারিদ্র্য বিমোচনের যে লড়াই অব্যাহত রেখেছে তা করোনাকালে আপাতত স্তিমিত হলেও কখনো গতি হারাবে না। চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য এই আবাসন কমপ্লেক্স সরকার অনুসৃত সারাদেশে প্রান্তিক কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তারই অংশ।

তিনি বলেন, এ আবাসন প্রকল্পের ৫৫৯টি ফ্ল্যাট শিগগির পরিচ্ছন্নকর্মী পরিবারের কাছে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে। চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের মোট সংখ্যা তিন হাজার ৬৩৯ জন। তাই তাদের আবাসনের চাহিদার তুলনায় তা পূরণ করার সামর্থ্য অপ্রতুল। তারপরও যারা নগরীকে পুতঃপবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখছেন তাদের বাসস্থানের চাহিদা পূরণের বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দেই।

এ সময় মেয়র নগরের বান্ডেল রোড সেবক কলোনিতে ১৪তলা বিশিষ্ট তিনটি নির্মাণাধীন ভবনের অবশিষ্ট কাজ আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার জন্য ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, ঝুলন কান্তি দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী সালমা খাতুন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম, তানজিম ভূঁইয়া, বান্ডেল হরিদাস যুবকল্যাণ সংঘের জগনাথ দাশ ঝর্না, সাধন দাশ, ডালিম দাশ ও অমর দাশ।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/কেএম)