লক্ষ্মীপুরে পাপুলের সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২০, ২৩:১৮

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুয়েতে মানবপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের বিচার চাওয়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ও বসতবাড়ি হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত পাপুলের সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার খাসেরহাট এলাকার ২ নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের চিত্র। এসময় কথা হয়,  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাইদুর রহমান, কর্মী এমরান খলিফা ও আমিনুল ইসলাম বাবুলসহ কয়েকজনের সঙ্গে।

তারা জানান, সাংসদ পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচার মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তার বিচারের দাবির জের ধরে তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করে। গত ১১ জুলাই রাতে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একদল যুবক এ হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এছাড়া বাজারের আশপাশের আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েকটি বাড়িতেও ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় আলতাফ হোসেনসহ কয়েকশ জনকে আসামি করে মামলা হয়। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সাংসদ পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের সমর্থকদের হামলা-মামলা ও হুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়রা।

তাদের অভিযোগ, পাপুলের বিচার চাওয়ায় তার স্ত্রীর ইন্ধনে আলতাফ হোসেন এসব হামলায় নেতৃত্ব দেন। টাকার বিনিময়ে এলাকায় লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র ইছমাইল হোসেন খোকন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ জানান, পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার হলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ হচ্ছেনা। বিশেষ করে তার স্ত্রীর প্রভাব বিস্তার করে দলীয় কার্যালয় ও  নেতাদের বাড়ি বাড়ি হামলা ও ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে এ নির্যাতন চলছে। পাপুলের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

এসব বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন ও এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিল জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।

ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/পিএল