‘বাচ্চু মাঝি’কে নিয়ে যেভাবে পালাচ্ছিলেন সাহেদ

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ১০:২৩ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০, ১২:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাতক্ষীরার কমলপুরের ইছামতি খালের পাশে ভারতীয় সীমানা। নদীর সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে কাঁটাতারের বেড়াও খুব দুর্বল। গতরাতেই ঠিক ছিল বুধবার ভোরে সাহেদ সীমান্ত পার হবে। যারা সীমান্ত পারাপারের কাজ করে তারা সব প্রস্তুত রেখেছিল। বাচ্চু মাঝি বা বাচ্চু দালালের নৌকায় সাহেদকে ভারতে পার করে দেবার কথা ছিল। গতরাতেই সাহেদ বোরকা পরিহিত অবস্থায় সেখানে অবস্থান করে। ভোরে সেই নৌকা থেকেই সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার সকালে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।

তিনি বলেন, 'সাহেদ আজ দেশত্যাগ করবে তাই বোরকা পরিহিত ছিল। তার সঙ্গে স্থানীয় দালালরা ছিল। যারা সীমান্ত পারাপারা করে। এমন কিছু দালালের নামও আমরা পেয়েছি, তাদের ধরতে কাজ করছি। বাচ্চু দালাল নামে একজন দালাল মাঝি ছিল। আরও দুই-একজন তাকে নৌকায় পার হতে সাহায্য করছিল। আমরা তাদের নাম বলছি না, তারা আমাদের নেটওয়ার্কে রয়েছে। তাদেরকেও চেষ্টা করছি ধরে ফেলার।'

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'সাহেদ ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় আমরা তার কাছে গিয়েও তাকে ধরতে পারছিলাম না। গতরাতে সে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেভাটা থানার কমলপুর গ্রামের ইছামতি খালের পাশে ভারতীয় বর্ডারের সীমানায় অবস্থান করেছে। কারণ, নদীর যে সীমানা সেখানে কাটাতারের বেড়া খুবই দুর্বল হয়। এতে তার পার হয়ে যাওয়া সহজ ছিল।'

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন)বলেন, 'রাতেই সেখানে সাহেদ অবস্থান করে। ভোর রাতে তার সীমান্ত ত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা দল, র‌্যাব-৬ এর সহযোগিতায় আমাদের দল আগে থেকে ওৎ পেতে ছিল। বেশ কয়েকবারই যখন সে নিজের পরিকল্পনা পরিবর্তন করছিল, তাই র‌্যাব বেশি সতর্ক ছিল। সাহেদ আজ দেশত্যাগ করবে তাই বোরকা পরিহিত ছিল।'

কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, সাহেদ যখন সীমান্ত পার হবার চেষ্টা করে তখন, একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ডগুলি উদ্ধার করা হয়। আমরা তাকে ঢাকায় এনেছি। তার তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করব।'

তাকে কোথায় নেওয়া হবে জানতে চাইলে  র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, 'তাকে আমরা কোথায় নিব এ ব্যাপারে পরে বলা হবে।'

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এসএস/এইচএফ)