নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ১৮:৪৪

নওগাঁ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সকালে নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর-মালঞ্চি বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। তবে নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়াই আরো গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

ইতোমধ্যেই রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ি, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, দুর্গাপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ও নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। পানিতে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ ও তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলাসহ সবজি ক্ষেত। আশঙ্কায় রয়েছে নওগাঁ-রাণীনগর-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কটি। ফলে নওগাঁর শহরের সাথে আত্রাই উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সড়কটি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বালুভর্তি বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়রা।

অপরদিকে আত্রাই নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সকালে মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর নুরুল্লাবাদ বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৪ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে শত শত হেক্টর জমির ধান, পাটসহ সবজির মাঠ। নিরুপায় হয়ে গরু-ছাগল নিয়ে সড়ক ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন পানিবন্দি মানুষ।

এদিকে নওগাঁ-আত্রাই আঞ্চলিক মহাসড়ক ও বেড়িবাঁধ ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ।

এসময় তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ইতোমধ্যে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বালুভর্তি বস্তা ফেলানো হচ্ছে। এছাড়াও বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা চাইলে সেখানে এসে আশ্রয় নিতে পারে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ছোট যমুনার পানি বিপদ সীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এলএ)