জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত করার সিদ্ধান্তে মৌসুমীর একাত্মতা

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ২২:৫৩ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০, ২৩:৩৬

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ১৭ টি সংগঠনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান  মৌসুমী।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের ১৭ টি সংগঠন সম্মিলিত ভাবে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রে অবাঞ্ছিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি সেই সিদ্ধান্তের প্রতি একজন চলচ্চিত্র কর্মী হিসেবে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

মৌসুমী প্রতিক্রিয়া দেখানোর একদিন আগে ১৩ জুলাই বিকেলে চলচ্চিত্রের ‘স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে চিত্রনায়ক ও প্রযোজক জায়েদ খানকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। এর একদিনের মধ্যেই তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭ টি সংগঠন।

 এই সংগঠন ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিসহ অপরাপর সংগঠনগুলো অতীতে বিভিন্ন সময়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করেছে। চলচ্চিত্র একটি সামষ্টিক শিল্প মাধ্যম। এখানে একক কর্তৃত্ব বা একক স্বেচ্ছাচারিতার কোন জায়গা নেই।

জায়েদ খান চলচ্চিত্রে অবাঞ্ছিত হওয়া প্রসঙ্গে মৌসুমীর প্রতিক্রিয়ামৌসুমী আরও বলেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে সদস্য পদ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়েছে। অনেকেই মুখ বুঝে সহ্য করেছেন।

অনেকেই প্রতিবাদী হয়েছেন। তার বিভিন্ন অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ স্বরূপ আমি শিল্পী সমিতির বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনে আমার সঙ্গে কী হয়েছে – সেটা প্রতিটা চলচ্চিত্র কর্মীই জানেন।

নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেত্রী মৌসুমী পরাজিত হলেও সবার ভালোবাসায় ব্যাক্তি মৌসুমীর নৈতিক জয় হয়েছিল। জায়েদ খানের কৃতকর্মের জন্যে তাকে ১৭ টি সংগঠন চলচ্চিত্রে অবাঞ্ছিত করায়, আমি মনে করি আমার আরেকবার জয় হলো।

মৌসুমী ১৭ সংগঠনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আরও বলেন, আমি সকলের এই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই একাত্মতা ঘোষণা করছি। আশা রাখছি, চলচ্চিত্রের সার্বিক কল্যানে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রে অবাঞ্চিত রাখার পাশাপশি শিল্পী সমিতির যেসব সদস্য তার অন্যায় আচরণ ও ব্যাক্তি আক্রোশের শিকার হয়েছেন, তাদের বিষয়ে ১৭ সংগঠনের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব যেনো সঠিক ও যৌক্তিক সমাধান দেন।

আমি চলচ্চিত্রের মানুষ হিসেবে এই শিল্প মাধ্যমের সার্বিক উন্নয়নে তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। আশা রাখছি – তাদের মাধ্যমেই আবার আমাদের চলচ্চিত্র সোনালী সুদিন ফিরে পাবে।

একই অভিযোগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগরকে সতর্ক করে বুধবার চঠি পাঠানো হয়।

 

ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এসকেএস