পরীক্ষামূলক সেবায় সাড়া পাচ্ছে ওয়ার্ড পরিসেবা অ্যাপ ‘ক্লিন ২১’
নাগরিক ভোগান্তি কমাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশা এবং জলাবদ্ধতাসহ ১২টি জরুরি সেবা তাৎক্ষণিক সমাধানে ‘ক্লিন ২১’ নামের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ এই অ্যাপটি তৈরির উদ্যোগ নেন।
জানা গেছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিএসসিসির ২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা, মশক নিধন, ময়লা পরিষ্কারের মতো সমস্যাগুলির ও তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন।
‘ক্লিন ২১’ এরইমধ্যে দেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা জেলা পর্যায়ে নাগরিক পরিসেবা প্রদানকারী অ্যাপ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বলে কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা এনামুল করমি জানিয়েছেন।
তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি অ্যাপটি ব্যবহার করে অভিযোগ জানানোর ৪০ মিনিটের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে দারুন সাড়া পেয়েছি। উন্নত দেশ ছাড়া দোড়গোড়ায় এমন সেবা অকল্পনীয়।’
বর্তমানে ‘ক্লিন ২১’ অ্যাপটি ব্যবহার করে ডিএসসিসির ২১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত বাংলামোটর, পরীবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগ (হাতিরপুল বাজার) এলাকার বাসিন্দারা সেবা নিতে পারছেন।
সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় যেকোনো সমস্যার জন্য দীর্ঘ দুর্ভোগ পোহাতে হয় জানিয়ে পরিবাগ এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এসব সমস্যা সমাধানে কাউকে বলারও কোনো উপায় থাকে না। সিটি করপোরেশনে এই ধরণের কেনো হেল্প ডেস্কও নেই। কাউন্সিলর আসাদের ক্লিন ২১ একটি নতুন দিনের সূচনা করেছে।’
ডিএসসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এই অ্যাপের বিষয়টি আমার নির্বাচনী ইশতেহারেও বলেছিলাম। তবে বলা যত সহজ করা ততটাই কঠিন। কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমার ওয়ার্ডবাসীর সমস্যা সমাধানে দ্রুত অ্যাপটি চালু করেছি। এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ পেলে আমাদের একটি দল ৩০ মিনিটের মধ্যে জিপিএস ব্যবহার করে তা সমাধান করার চেষ্টা করে।’
সাবেক ছাত্রনেতা আসাদ জানান, গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেটির মাধ্যমে যে কোনও বাসিন্দা সমস্যাটি বর্ণনা করবেন। অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ঠিকানা বা লোকেশন জানাতে হবে এবং একটি ছবি যুক্ত করে দিতে হবে। ছবি দেখে সমস্যার ধরন বুঝেই ব্যবস্থা নিতে কাজ করেন কর্মীরা।
আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষমূলকভাবে চালু করে দারুন সাড়া পাচ্ছি। অন্যান্য কাউন্সিলররা যদি স্ব স্ব অঞ্চলে এই জাতীয় অ্যাপস চালু করতে চান তবে আমি তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করব।’
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/ডিএম)