ন্যায্য মূল্য নিয়ে সংশয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০২০, ১৫:২১

কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকী। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার লোকসানের আশঙ্কা থাকলেও থেমে নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গরু খামারিরা। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন খামারের প্রায় লক্ষাধিক গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার প্রায় ১২৫০০ খামারি দিনরাত কম খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণে কাজ করছেন। খামারিরা বলছেন, খামারে থাকা পশু দিয়েই মিটবে জেলার ৯৫ ভাগ চাহিদা। তবে চলতি পরিস্থিতিতে ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, খামারিদের লাভের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে কেনা-বেচার পাশাপাশি কম খরচে পশু মোটাতাজাকরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

খামার মালিক হোসাইন মিয়া ও তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবে অনেক খামারের আকার ছোট করা হয়েছে। তাছাড়া পশুখাদ্যের দাম বিগত বছর থেকে এবার বেড়েছে। লাভের আশায় দিন-রাত কাজ করলেও করোনার প্রভাবে গত ২/৩ বছরের তুলনায় এবার লোকসানের আশঙ্কা করছি। তবে এবার ভারত থেকে গরু না এলে আমাদের কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আশা করছি।’

শহরের পৈরতলার খামারি জামাল মিয়া জানান, তার খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে যুবরাজ নামে একটি গরুর দাম হাকাচ্ছেন সাত লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ছোলা, বুট, ডালসহ ভাল ভাল খাবার খাইয়ে পালন করেছি। এখন সঠিক দাম পাব কি না তা নিয়ে চিন্তিত।’

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান জানান,প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের ব্যয় কমানোর জন্য জেলার নয়টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে ৫০ জন করে মোট ৪৫০ জন খামারিকে কম খরচে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশু বিপননের জন্য এসব প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত খামারিদের নিয়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে অনলাইলে গবাধি পশু কেনা বেচা হবে।

ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :