রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা কমেছে

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২০, ১৬:৪১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনা পরিস্থিতির কারণে সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে (২০১৯-২০) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে ২৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৪ দশমিক ৮০ ভাগ। এ পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ বিলিয়ন ডলার কম। তবে গত অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে রপ্তানির এ লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরও যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান), এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) ৫৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা বিবেচন করে চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য খাতে রপ্তানির টার্গেট ৪১ বিলিয়ন এবং সার্ভিস সেক্টরে ৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৯.৭৯ শতাংশ। এর মধ্য পণ্যখাতে প্রবৃদ্ধি ২১.৭৫ শতাংশ ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ৯.৪৬ শতাংশ। যে রপ্তানি আয় নির্ধারণ করেছি সেটা আমরা অর্জন করতে পারব।

গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে পণ্য খাতে রপ্তানির টার্গেট ছিল সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন এবং সার্ভিস সেক্টরে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার। উভয় খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে গত দুই বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এবং এর বিপরীতে অর্জন হার ও প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্যে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে পণ্য খাতে রপ্তানি আয় যথাক্রমে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৮.১৯ শতাংশ, ৮২.৮৫ শতাংশ ও ৬১.৮৭ শতাংশ কমেছে। তবে জুন মাসে ২.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা থেকে অনুমান করা যায় সঠিক নীতি অনুসরণ ও সময়ানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।

টিপু মুনশি বলেন, ‘আশা করা যায় কোভিড-১৯ মহামারি ২০২০ এর শেষে কমে আসবে। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতি ২০২১ সালের মধ্যেই প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে। ইউরোপ-আমেরিকার দেশসমূহে চলতি বছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে তাদের চাহিদা উল্লম্ফন ঘটবে। ফলে রপ্তানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে আমাদেরও রফতানি বাড়বে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে বহুমুখীকরণ হবে এবং গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাড়বে। আইটি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে, ই-কমার্সের প্রসার ঘটবে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে আইটির ব্যবহার বাড়ার ফলে আমাদের রপ্তানিও বাড়বে।’

ঢাকাটাইমস/১৬ জুলাই/আরএ/ইএস