বাঁধ নিয়ে সংঘাতে মিশর, সুদান, ইথিওপিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০২০, ১৬:৪৭

জলবিদ্যুৎ তৈরির জন্য নীল নদের শাখা নদী ব্লু নাইলের ওপর এই বাঁধ তৈরি করছে ইথিওপিয়া। আর এতে আপত্তি জানিয়েছে মিশর ও সুদান। তিন দেশের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর সেই আপত্তিতে কান না দিয়ে বাঁধের কাজ আবার শুরু করে দিয়েছে তারা। সেটি নিয়ে তিন দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।

ইথিওপিয়া বলছে, তাদের ১১ কোটি লোকের দারিদ্র্য ঠেকাতে এই বাঁধ অত্যন্ত জরুরি। এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়ে গেলে ইথিওপিয়া হবে আফ্রিকার সব চেয়ে বড় বিদ্যুৎ রপ্তানিকারী দেশ।

ইথিওপিয়ার মন্ত্রী সেলেশে বেকেলে জানিয়েছেন, বাঁধের নির্মাণ কাজ এবং জল আটকানোর কাজ পশাপাশি চলবে। জলস্তর এখন ৫২৫ মিটার থেকে ৫৬০ মিটার হয়েছে।

মিশর ইতিমধ্যে ইথিওপিয়ার কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাখ্যা চেয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্লু নাইল হলো নীল নদের শাখানদী। এখান থেকেই মিশরের ৯০ শতাংশ জল আসে। জাতি সংঘকেও মিশর জানিয়েছে, ইথিওপিয়া এই বাঁধ বানালে তাদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে।

সুদান বলেছে, ইথিওপিয়া বাঁধের কাজ শুরু করার পর ব্লু নাইলে জল দৈনিক ৯ কোটি কিউবিক মিটার কমে গেছে। ইথিওপিয়া একতরফাভাবে এই কাজ করতে পারে না। বিশেষ করে যখন তিন দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আর জলস্তর দেখে বোঝা যাচ্ছে, ইথিওপিয়া বাঁধের গেট বন্ধ করে দিয়েছে।

মিশরও বলছে, তারা পুরোপুরি নীল নদের জলের ওপর নির্ভরশীল এবং জল যেহেতু কমছে, তাই ১০ কোটি লোকের জীবনের ওপর বিশাল প্রভাব পড়বে। গত মাসেই মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, জতিসংঘ হস্তক্ষেপ না করলে সংঘাত অনিবার্য। বাঁধ হলে মিশর ও সুদান মিলিয়ে ১৫ কোটি লোকের জীবন বিপন্নহয়ে যাবে। তাই এই বাঁধ তারা মানবে না।

গবেষক আহমেদ সোলেমান বলেছেন, মিশরে ইতিমধ্যেই জলের অভাব দেখা দিয়েছে। যতটা প্রয়োজন, তার তুলনায় জল কম পাওয়া যাচ্ছে। যত দিন যাবে তত সমস্যা বাড়বে।

মিশরের দাবি, ১৯৫৯ সালের জলচুক্তি মেনে চলতে হবে। সেই চুক্তিতে নীল নদের জলের সব চেয়ে বেশি অংশ মিশরকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইথিওপিয়া সেই চুক্তির শরিক ছিল না। ইথিওপিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে চেয়েছে। কিন্তু মিশর ১৯৫৯ এর চুক্তি থেকে সরে আসতে রাজি নয়। ইথিওপিয়ার লোক এই বাঁধ বানাবার পক্ষে। তাদের দাবি, এটা তাদের অধিকার। কারণ তারা নিজের দেশে বাঁধ তৈরি করছেন।

এই অবস্থায় মিশর চাইছে, জলবন্টন নিয়ে আইনত ব্যবস্থা হোক। ব্লু নাইলের নাব্যতা বজায় রাখার ব্যবস্থা হোক। বাঁধ তৈরি শেষ হওয়া এবং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাজ শুরু করার আগেই জলবন্টন চুক্তি করতে হবে।

এমনিতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুদানের লাভ। তারা কম দামে বিদ্যুৎ পাবে। কিন্তু তাদের চিন্তা জল পাওয়া নিয়ে। মঙ্গলবার তিন দেশের মধ্যে আলোচনা শেষ হয়েছে এবং সেখানে কোনো মতৈক্য হয়নি। ফলে বিরোধ কীভাবে মিটবে তার কোনো সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে

ঢাকা টাইমস/১৬জুলাই/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর বালিচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনারা 

গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির প্রতি আহ্বান

কলকাতা বিমানবন্দরে চলল গুলি, নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে হুমকি পেলেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ

মস্কোতে কনসার্টে হামলা: এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ 

বাবা কোটিপতি, ২০ বছর ধরে জানতই না ছেলে!

গাজা যুদ্ধের ১৭৩তম দিন, প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলা: ফের মৃত্যুদণ্ড চালুর আহ্বান রুশ আইনপ্রণেতাদের

দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, বেশিরভাগই সাগরে ডুবে: জাতিসংঘ

৩০ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেবে ভারত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :