ভেজাল ওষুধে ঠাসা দোকান, জেল-জরিমানা

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০২০, ২১:৫২ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০, ২২:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর পুরানা ঢাকার মিটফোর্ড ওষুধের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানে প্রায়ই মিলে ভেজাল ওষুধ। এসব ওষুধ তৈরির কারখানায় বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু তাতে বন্ধ হচ্ছে না ভেজাল ওষুধের রমরমা ব্যবসা। এখানকার প্রায় দোকানই ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধে ঠাসা। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও রয়েছে অনেকটা বেপরোয়া ভাব। বিভিন্ন সময় জেল-জরিমানার মুখোমুখি হলেও থামছে তাদের দুষ্কর্ম।

শনিবার বিকালে মিটফোর্ডে ওষুধের মার্কেটে নকল ও অনুমোদন ছাড়া ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখানে ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি হচ্ছিল নামসর্বস্ব, নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের জন্য ‘সেকলো’, 'ম্যাক্সপ্রো' ছাড়াও মুভসহ নামিদামি ওষুধ পাওয়া গেছে, যা সম্পূর্ণ নকল।

অভিযানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা, একজনকে দুই বছরের জেল এবং একটি ফার্মেসি সিলগালা করা হয়েছে। জব্দ করা হয় প্রায় দশ লাখ টাকা মূল্যের ভেজাল ওষুধ।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'অভিযানে ফার্মেসিগুলোতে নামিদামি ওষুধের আদলে অনেক ভেজাল, নকল ও সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন ওষুধ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে 'সেকলো-ম্যাক্সপ্রো'র মতো ওষুধ ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি হচ্ছিল। এসব ওষুধের নাম ঠিক রেখেছে কিন্তু যার কভারের ফিনিসিং দেখে সন্দেহ হয়। পরে খুলে দেখা যায়, হাত দিয়ে ডলা দিলে এমনি ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। এটাতে ওষুধ প্রশাসনের ভাষায় স্ট্রাচ (যার ভেতরে কোনো গুণাগুণই নেই) বলা হয়।

একইভাবে বিভিন্ন দোকানে ভারতীয় মুভ নকল পাওয়া গেছে। এছাড়া ক্যাপসুল, ট্যাবলেট, সিরাপসহ বিভিন্ন ওষুধ ফার্মেসিগুলোতে মিলেছে। যা সম্পূর্ণ অনুমোদন ছাড়া বিক্রি হচ্ছিল।

অভিযানে মিজান মেডিকেল হলের মালিক মিজানুর রহমানকে দুই বছরের জেল, সেবা ফার্মেসি এজেন্সিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, মেডিচেইন সার্জিক্যালকে ৫০ হাজার টাকা, জামাল মেডিসিনকে দুই লাখ টাকা, সিমন ড্রাগ হাউজকে ৫০ হাজার এবং রিপন মেডিসিন হাউজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এসএস/জেবি)