ভুবন মায়ার বিভীষিকা

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০২০, ২২:১৫ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০, ২২:৫৬

আলমাস হোসাইন শাজা

মার্চের শুরুর দিকে এক রাত্রি। বাসার সকলের খাওয়াদাওয়া শেষ হলে আব্বা-আম্মা পাশের রুমে ঘুমোতে গেলেন। আমি আর ছোট ভাই অন্য রুমে লাইট অফ করে শুয়েছি।

হঠাৎ করে আমার শরীর খুব খারাপ লাগতে শুরু করলো। নিজেকে সামলে নেওয়ার শত চেষ্টা করেও পারছিলাম না। মাথায় চাপ চাপ অনুভূত হচ্ছে, ঘাড় নাড়াতে পারছি না। চিবোতে চিবোতে ব্যথা একাকার হয়ে আসছে।

শরীর প্রচুর পরিমাণে ঘামতে শুরু করলো। মোবাইলটা হাত থেকে নিজের অজান্তেই ছেড়ে দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বিছানা থেকে নেমে ফ্লোরে চিৎ হয়ে সোজা শুয়ে পড়লাম।

ছোটভাইকে শুধু বললাম, আমার খুব খারাপ লাগছে। তাড়াতাড়ি ফ্যানটা চালু কর। ছোটভাই তড়িঘড়ি করে ফ্যানের সুইচটা দিয়ে চিৎকার দেওয়া শুরু করলো।

‘আম্মা তাড়াতাড়ি আইও, ভাই কেমন করতাছে’। আম্মা-আব্বা পাগলের মতো ছুটে আসলো। কি সমস্যা হচ্ছে আব্বা জিজ্ঞেস করছিল। আমি কথা বলতে পারছিলাম না। আম্মা কান্নাকাটি শুরু করলো।

বাসায় গভীর রাতে হাউমাউ, চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাশের বাসার সবাই ছুটে এলেন। তিন-চারজনে ধরে আমাকে বিছানায় শুইয়ে মগ-জগ ভরে যে যার মতো মাথায় পানি দিতে শুরু করলো। পাশের বাসার বড় ভাই প্রেশার মাপলেন। প্রেশার মুটামুটি নরমাল।

মাথায় পানি দেওয়াতে আস্তে আস্তে একটু ভাল লাগছিল। সকলের পরামর্শক্রমে একটা ম্যাক্সপ্রো(গ্যাসের ট্যাবলেট)খেলাম।পরক্ষণেই শুরু হলো বমি। আস্তে করে বললাম─ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাও, খুব খারাপ লাগছে। ঘাড় সোজা করে মাথা তুলতে পারছি না।

আমার কথা শুনামাত্র ছোট ভাই বাসা থেকে দৌড়ে বের হয়ে রিক্সা আনতে গেলো। রিক্সা নিয়ে আসার মিনেট দশেক সময়ের মধ্যে সাত-আটবার বমি হলো। তখন অনেকটা হালকা লাগছিলো। তবে তৎক্ষনাৎ পেটে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হলো।আস্তে আস্তে উঠে বসলাম।ধরাধরি করে বাসার সামনের রিক্সায় তুলা হলো।

তিনজন এক রিক্সায়। মাদ্রাসা কোয়ার্টার এলাকা হতে হাসপাতালে যেতে যেতে কম করে হলেও আট দশবার রিক্সা হতে মুখ বাড়িয়ে বমি করেছি। হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে পৌঁছালাম। সেখানে থেকে পাঠানো হলো মেডিসিন ইউনিটের ১৩ নং ওয়ার্ডে।

ডিউটি ডাক্তার সামগ্রিক সমস্যা শুনে প্রেসক্রিপশন করে বললেন─ এখানে ইনজেকশন আর স্যালাইন দেওয়া আছে সেগুলো নার্স এখনই পুশ করবে। সকালে আল্ট্রাসনোগ্রাফ আর পেটের এক্স-রে করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসবেন। স্যারেরা ওয়ার্ড ভিজিট করার সময় রিপোর্ট দেখে পরামর্শ দিবেন।

ডিউটি ডাক্তারের রুম হতে বের হয়ে নার্সের রুমে আসলাম। ডান হাতের শিরায় ক্যানোলা লাগানো হলো। প্রথমেই মেট্রোনিডাজল জাতীয় এক প্রকার তরল স্যালাইন ক্যানোলা দিয়ে দেওয়া হলো। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে তা শেষ হলে পুশ করা হলো নরমাল স্যালাইন আর কিছু ইনজেকশন।

১৩ নং ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই। যে যার মতো জায়গা নিয়ে শুয়ে-বসে আছে। সিঁড়ি দিয়ে উপরের ৮ নং ওয়ার্ডে উঠলাম। ছোটভাই স্যালাইন ধরে পাশাপাশি হাঁটছে। উপরে উঠে একটু ফাঁকা জায়গা পেলাম। কোনও রকম শুয়ে পড়লাম। হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে বারবার আমার প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুনের কথা মনে পড়ছিল। নিজেকে হাসপাতালে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।

আব্বা বাসায় গেলো পাটি, বালিশ-কাঁথা-কম্বল আনতে। ছোটভাই স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে স্যালাইন ধরে আছে। স্যালাইন বাধার জন্য কোন স্ট্যান্ড বা অবলম্বন ছিলো না। সারারাত স্যালাইন চলবে, মুখে কিছু খাওয়া যাবে না।

আব্বা বাসা থেকে ফিরলেন। অবস্থা আগের চাইতে ভালো। বয়স্ক মানুষ বিধায় ঘুমের জন্য আব্বাকে বাসায় পাঠালাম। ছোট ভাই খানিক বসে হাত উঁচু করে আবার খানিক দাঁড়িয়ে স্যালাইনের প্যাকেট ধরে রাখলো।রাত সাড়ে বারোটা থেকে সকাল সাতটা অব্দি একনাগাড়ে স্যালাইন চললো।

ততক্ষণে আব্বা ছুটে এলো। ছোট ভাই ঘুম ঘুম চোখে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বাসার দিকে রওয়ানা দিলো। ছোট ভাইটার চোখের দিকে তাকিয়ে অঝোরে কান্না করতে লাগলাম।

স্যালাইন খুলে কাগজপত্র নিয়ে ওয়ান স্টপের দিকে গেলাম।আল্ট্রাসনোগ্রাফ আর পেটের এক্স-রে করালাম। রিপোর্ট নিয়ে ওয়ার্ডে এসে দেখি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ ভিজিট করছেন। একপাশে দাঁড়িয়ে কাগজপত্রসহ রিপোর্টগুলো দেখালাম। দেখে বললেন─ নরমাল কেস। গ্যাসের প্রবলেম আর এনজাইটি থেকে এমন হয়েছে।

গ্যাসের ট্যাবলেট আর এনজাইটির ঔষধ লিখে প্রেসক্রিপশন করে দিবে,নিয়মিত ঔষধ খাবেন,সেরে যাবে।নার্সের রুম হতে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় চলে যাবেন, সমস্যা হবে না। পরক্ষণেই ক্যানোলা খুলিয়ে পাটি, বালিশ-কাঁথা-কম্বল গুছিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

বাসায় আম্মার অধীর আগ্রহের অপেক্ষা। আম্মা বললো─ আবুলাস তো আবারো হাসপাতালে গেছে। আব্বা ফোনে ওকে বাসায় আসতে বললো। এর মধ্যে গোসল সেরে অল্প খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোলাম। জেগে দেখি বিছানার পাশে ছোট ভাই আবুলাস বসা। আমার দিকে মলিন মুখে তাকিয়ে আছে।

বুঝতে বাকি থাকার নয় যে একটি পরিবার, আত্মীয়-স্বজন অসুস্থতার সময় কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। আস্তে আস্তে সেরে উঠলাম। এর পরদিনই আমাদের দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলো।

আস্তে আস্তে আক্তান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে সারাদেশ লকডাউন করা হলো। ঘর থেকে বের হওয়া মানা। নিয়ন্ত্রিত চলাচল। ঘরে শুয়ে বসে খারাপ লাগছিল। যখনই বেশী খারাপ লাগে তখনই আমার ওই শিক্ষার্থী মুনের কথা স্মরণে আনি। আতংকের মাঝে মনটা সামান্য হলেও স্থির হয়।

মনে পরে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পদার্থবিজ্ঞান-উচ্চতর গণিত বই নিয়ে বোরকা-হিজাব পরিহিতা একটি মেয়ে আমার ক্লাসে হাজির। আমি তখন তখন ‘চরহরিপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।

মেয়েটিকে বেশ চটপটে ও চঞ্চল দেখে বললাম─ ‘সাইন্স নিয়েছ, গুড। তো বড় হয়ে কি হতে চাও? ওর ঝটপট উত্তর, ‘স্যার, ডাক্তার হবো।’

আলাপে আলাপে জানতে পারলাম, কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ করে স্ট্রোক করে ওর বাবা মারা গিয়েছেন। বাবা শিক্ষক ছিলেন।বাবার কথা বলতে গিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিলো। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা ছিল না, স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

নবম শ্রেণির ক্লাস শুরুর কয়েকদিন পরেই হঠাৎ একদিন সকালে ওর সারা শরীরে গুটিগুটি কালো দাগ দেখতে পায়। ডাক্তারের কাছে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা শেষে জানতে পারলো,ওর শরীরে দুরারোগ্য লিউকোমিয়া (ব্লাড ক্যান্সার)বাসা বেঁধেছে।

ডাক্তারের পরামর্শক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিলো। কিছুদিন চিকাৎসা শেষে  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের রক্তরোগ বিভাগে রেফার্ড করা হলো।

সহায় সম্বল হারিয়ে একমাত্র ভাই ও মায়ের পেরেশানির মধ্যে প্রায় দুই বছর কেটে গেল। যার অধিকাংশ সময়টাই কেটেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যতবারই দেখতে গিয়েছি চিরাচরিত হাসিমুখ। বিনয়ী আচরণ, যা আমার ব্যক্তিগত জীবনে খুব কম শিক্ষার্থীর মাঝে দেখেছি।

রক্তরোগ বিভাগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যু দেখতে দেখতে মৃত্যু বিষয়টা তার কাছে হয়ে গিয়েছিল ঠুনকো। কথায় কথায় একদিন বলছিল─ ‘স্যার, হসপিটালের ইতিহাসে এই রোগে মাত্র দুইজন ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছে। হাজার হাজার রোগীর মাঝে মাত্র দুইজন! ডাক্তার বলেছেন, আমিও যেকোনও দিন মারা যেতে পারি। যদি বেঁচে যাই তবে ভাগ্যের জোরে।’

পৃষ্ঠীয়দেশের ব্যোন ছিদ্র করে স্নায়ুরজ্জুতে কেমোথেরাপি নেওয়া কত যে কষ্ট তা মুনের মুখের বর্ণনা শুনেই গা শিউরে উঠতো। ইঞ্জেকশনের প্রভাবে ফর্সা মেয়েটির প্রতিটি শিরা-ধমনী কালো হয়ে গিয়েছিল।

মুনের মুখের ক্ষীণ হাসির অন্তরালে কষ্টের আবছায়া স্পষ্ট পরিলক্ষিত হচ্ছিল। ফিরে আসার পথে দীর্ঘ নিঃশ্বাসের ভাষায় শুধুই কষ্টের আবছায়া। এসবের মাঝেই বছরখানেক পর হঠাৎ শরীরটা হয়তো একটু ভাল লাগছিল। তাই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে আবারো স্কুলে চলে আসে।

আমি ক্লাস নিচ্ছিলাম, দৌড়ে ছুটে আসল। মুনকে দেখে বললাম, ‘কেমন আছ?’ স্যার, ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? স্যার, আমি নতুন করে নাইনে ভর্তি হইছি।’

কথাগুলো যেন একদমে বলছিল। তাকে ভিতরে আসতে বললাম। ক্লাস করার জন্য ফাস্ট বেঞ্চে বসল। ওর এক বছরের জুনিয়রদের সাথে ক্লাস। গল্পে গল্পে ক্লাস শেষ হলো।

ক্রীড়া সপ্তাহ চলায় দ্বিতীয় ঘন্টার পরপরই খেলার জন্য ক্লাস ছুটি। মুন তাদের ক্লাসের ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট দিতে মাঠে ছুটে চলল। কালো বোরকা-হিজাব আর মাথায় লাল-সবুজের টুপি। দৃশ্যটি কখনো ভুলার নয়। সারাদিন খেলাধুলার সাথে কেটে গেল। ওদের দল জয়লাভ করলো। আনন্দোৎসবে আমাদের সেই চিরচেনা মুন।

এর কয়েকদিন পরই আবারো অসুস্থ। আবারো হাসপাতালের বিছানা। সমস্ত স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে হতভাগা মা ও মেয়ের কাছে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনেকেই ছুটে গিয়েছিল।

একদিন জিজ্ঞেস করলাম─ ‘হাসপাতালে তোমার সময় কিভাবে কাটে?’

মুন বলেছিল─ ‘স্যার, বই পড়ে। আর ফেসবুক চালিয়ে। ফেসবুকের কথা বলতে বলতে লাজুক হাসল।’

─‘তুমি ফেসবুক চালাও? ─‘স্যার, কাউকে বইলেন না। শুয়ে থাকতে থাকতে আর ভাল লাগে না। তাই ফেসবুকে গল্পটল্প পড়ি। ভাল হয়ে বাড়ি চলে গেলে আর চালাবো না। মন দিয়ে পড়াশুনা করবো।’

আমি সময় পেলেই ওর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতাম। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ মুনের জীবনের চূড়ান্ত খবর প্রচারিত হলো।

সোহাগ স্যার মেসেজ দিলেন─ ‘আমাদের স্কুলের ছাত্রী মুন না ফেরার দেশে। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

সন্ধ্যার দিকে একটু বাইরে ছিলাম, মেসেজটা পেয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসি। আম্মাকে জানালাম, আম্মা কাঁদলেন। আমিও ঠিক থাকতে পারিনি।

পরদিন সকাল দশটায় জানাযার সময় নির্ধারণ করা হলো। খুব ভোরে বাসা থেকে বের হয়ে মুনদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। সকল স্যার-শিক্ষার্থী-শুভাকাঙ্খী, এলাকাবাসী মিলে জানাযা শেষে খাটিয়ায় করে লাশ নিয়ে ছুটলাম আনন্দীপুর গোরস্তানের দিকে।

অতিপ্রাচীন এই গোরস্থানটি মুনদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরবর্তী, এখানে মুনের বাবাও শায়িত। মুনের কবর তার বাবার কবরের পাশেই।

গোরস্তানে লাশ নামিয়ে মুষ্টি মুষ্টি করে মাটি দিতে দিতে তার সহপাঠীসহ সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। নিজেকে কোনও ভাবেই স্থির রাখতে পারছিলাম না।

ভুবন মায়ার বিভীষিকা ভেদ করে মুন চলে গেছে না ফেরার দেশে। আমাদেরও একদিন না একদিন চলে যেতে হবে। ধারাবাহিক নিয়মে কাফন-দাফনের মাধ্যমে কবরে পৌঁছে দেওয়া সামাজিকতা ও আন্তরিকতার দায়বদ্ধতা আমরা সকলেই পালন করি।

কিন্তু আজকের পৃথিবীতে চলছে বিপরীতক্রম। করোনায় আক্তান্ত হয়ে মারা গেলে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, দূরের-কাছের কেউ পাশে আসে না! এমনকি শেষ বিদায়ের জানাযায়ও অংশ নেয় না।

করোনা আক্রান্ত হলেই পরিবার-পরিজন হতে আলাদা হয়ে যেতে হয়৷ সকল বন্ধন চিহ্ন করে থাকতে হয় আলাদা কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে। দেখাশুনা বা সেবা শুশ্রূষা করার জন্যও পরিবারের মানুষকে পাশে পাওয়া যায় না। এ এক একাকীত্বের বিভীষিকাময় জীবন।

এবার একটু আলাদা করে ভাবুন, মুন তার মৃত্যু মোটামুটি নিশ্চিত জেনেও হাসপাতালে কাটিয়েছে বছরের পর বছর। ছিলো সামান্য সম্ভবনার মাঝে বেঁচে থাকার অপার আকুতি।

আর আমরা ঘরে থাকলে নিশ্চিত সুরক্ষিত থাকবো জেনেও বাইরে ঘুরে বেড়াই। করোনা ভাইরাসকে থোড়াই কেয়ার করি। আল্লাহপাক না করুন, যদি আমরা কেউ আক্তান্ত হয়েই পড়ি তাহলে আমাদের পরিবারের পরিস্থিতিটা কিরূপ হবে তা একবার ভেবে দেখেছেন?

আসুন, সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাসম্ভব নিজ ঘরে অবস্থান করি।সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। নিজেকে সুস্থ রাখি, অপরকেও রাখি ঝুঁকিমুক্ত। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে হেফাজতে রাখুন। আমিন।

লেখক: পদার্থবিজ্ঞান প্রভাষক, ফ্লোরেস কলেজ, ময়মনসিংহ এবং দপ্তর সম্পাদক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাহিত্য পরিষদ।