ফরিদপুরের বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা বরকত-রুবেল সিআইডির রিমান্ডে

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২০, ২০:১৫

দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে রিমান্ডে এনেছে পুলিশের তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রবিবার ভোরে সিআইডির একটি দল ওই দুই ভাইকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে ঢাকার মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করে সিআইডি। সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডালিংয়ের অভিযোগ এনে এ মামলাটি করেন। সিআইডি এ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। গত ১৩ জুলাই এ রিমান্ডের শুনানি ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে। ফরিদপুর কারাগারে থাকা অবস্থায় জেল গেটে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে এ শুনানির সময় উপস্থিত থাকেন বরকত ও রুবেল। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার আব্দুর রহিম বলেন, তাদের জিম্মায় থাকা বরকত ও রুবেলকে রবিবার ভোরে তাদের কাছ থেকে বুঝে নেন সিআইডির একটি দল।

এ মানি লন্ডারিং মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়াও মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনা হয় এজাহারে। এভাবে উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে এসি, নন এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। এ টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন তারা।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম জীবনে এই দুই ভাই রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে প্রয়াত বিএনপি নেতা চান খন্দকারের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছু ছিল না।

গত ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। ১৮ মে সুবল সাহা এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ৭ জুন রাতে এ মামলার আসামি হিসেবে প্রথমে বরকত ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ হামলা মামলা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরো আটটি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অস্ত্র, মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদের কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ অর্থপাচারের অভিযোগে মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হলো তাদের।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :