মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভাগ্যকূল পয়েন্টে রবিবার পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৪ সেন্টিমার এবং মাওয়া পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি যা শনিবারের চেয়ে ৬ সেন্টিমিটার বেশি। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে পদ্মা সংলগ্ন মুন্সীগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা।
বানের পানিতে এ পর্যন্ত জেলার ৩টি উপজেলা টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগর মোট ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার ৩ হাজার পরিবারের ২০ হাজার অধিক মানুষ।
এদিকে জেলার সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বেশকিছু এলাকা নদীতে তলিয়ে গেছে।
লৌহজং উপজেলায় পানিবন্দি বেজগাঁও, গাঁওদিয়া, তেউটিয়া কনকসার, মেদেনিমন্ডল, কলমা ইউনিয়েনর হাজার অধিক পরিবার। শ্রীনগরের ভাগ্যকূল, বাঘরা এবং টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও, হাসাইল, কামারখাড়া ও দিঘিরপাড় ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী প্রায় ২২টি গ্রামের বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে পড়েছে পানিবন্দি মানুষ।
মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা স্রোতে পদ্মায় আগামী কয়েকদিন পানি বাড়বে।
টঙ্গীবাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, শনিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার ১২৫০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবিরুল ইসলাম খান জানান, উপজেলায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারের জন্য ৪টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি এক হাজার পরিবারে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ ও গবাদি পশু রাখতে টেউটিয়া চরে ১০ বান্ডিল টিন দিয়ে ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যাকবলিত এসব এলাকায় এই পর্যন্ত ৪৫ মেট্টিক টন চাল এবং এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/এলএ)