পদ্মায় বাড়ছে পানি, ডুবছে গ্রাম

ফরিদপুরে পদ্মার পানি গত কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলছে। পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার ফলে নতুন নতুন এলাকা ডুবে গিয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে সরকারি বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ২ হাজার পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছে। বন্যার্ত এলাকার মানুষ তাদের গবাদিপশু নিয়ে বেড়িবাঁধসহ উঁচুস্থান গুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় ৩০টি ইউনিয়নের পৌনে দুইশ গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করে। এতে লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানাল ইউনিয়নে ৫ শত বন্যার্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, পানি রাখার ক্যান ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবেলট বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসক।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার পানিবন্দি মানুষগুলোর জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে ২শ মেট্রিকটন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জেলার নিম্নাঞ্চলের অনেকগুলো আঞ্চলিক সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ফরিদপুরের গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি এখন বিপৎসীমার ১০৭ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুমতির নদীর আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে।

সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, এই ইউপির আশি শতাংশ এলাকায় এখন পানিতে প্লাবিত। মানুষগুলো বিভিন্ন সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র ও উঁচু স্থানগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারিভাবে কিছু সহায়তা পেয়েছি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় কম।

আলিয়াবাদ ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ডাবলু বলেন, বেড়িবাঁধে কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রতিদিন।

ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর