কোরবানির গরু নিয়ে অনিশ্চয়তায় মুন্সীগঞ্জের খামারিরা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ জুলাই ২০২০, ১৫:১৩ | প্রকাশিত : ২১ জুলাই ২০২০, ১৪:৩০

এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ জেলার ছয় উপজেলায় ৩১৭০টি খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে দেশি-বিদেশি জাতের ১৪২৩২টি গরু ও অন্যান্য গবাদিপশু। প্রাকৃতিক উপায়ে পালন করা হয় বলে স্থানীয় ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে মুন্সীগঞ্জের গরু ও ছাগলের চাহিদা অনেক বেশি।

তবে করোনার প্রভাবে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর খামারিদের খরচ বেড়েছে বহুগুণ। এমন পরিস্থিতিতে সারা বছর পরিচর্যা ও কষ্টে লালন করা এসব পশুর ন্যায্যমূল্য পাবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা।

ব্যাংক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়া অনেক খামারি খরচ পুষিয়ে লাভবান হওয়া নিয়ে বেশ চিন্তিত। সময়মত বাজারজাত, চাহিদা ও ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে নানান অজানা শঙ্কায় আছেন খামারিরা।

মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি জাতের গরুর পাশাপাশি অস্টেলিয়ান, ব্রাহামসহ বিভিন্ন জাতের গরু পালন করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করা এসব গরুকে খাওয়ানো হয় খেইল, কুড়া, চালের খুদ, খইল, ভুট্টা, গমের ভুষিসহ নানা ধরনের পুষ্টিকর খাবার। জাত ও আকৃতিভেদে এসব গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ৫০ হাজার থেকে ৮ লাখ টাকা।

খামারিরা জানায়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা কোরবানির এক মাস আগে থেকেই খামারিদের নিকট আসতেন দাম জানতে ও পছন্দের গরুটি দেখতে। কিন্তু এবছর ঈদ কাছাকাছি চলে এলেও কোন ক্রেতা কিংবা পাইকার আসেনি। স্থানীয় পাইকার এবং কোরবানির জন্য গরু কেনার ক্রেতারাও দেখাচ্ছে না কোনো আগ্রহ।

এদিকে সময়মত বাজারজাত করতে পারলে খামারিরা লাভবান হবে বলে উল্লেখ করে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কুমুদ রঞ্জন মিত্র জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর ২০০০ অধিক গরু খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৪১টি হাটের পাশাপাশি খামারি ও বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য অনলাইনে গরু বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :