ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউপির চেয়ারম্যানের দুর্নীতির অভিযোগ দুদকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ জুলাই ২০২০, ২১:০০

এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্ত হওয়া আলোচিত চেয়ারম্যান আলম মিয়া বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

এই অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সাংসদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক ও কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রায় দুই ডজন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আজহারুর ইসলাম এসব অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২ নম্বর মেহারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে প্রমাণিত হওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তিনি নারী কেলেঙ্কারি ও ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত আছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ও একই প্রকল্প বিভিন্ন নাম করে বার বার বরাদ্দ দিয়েছেন। তার নিজের বাড়ির একটি সড়কেই একাধিকবার বিভিন্ন নামে প্রকল্প বরাদ্দ করেছেন। এসব প্রকল্পের অনিয়মে তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন কয়েকজন ইউপি সদস্য।

অভিযোগে উল্লেখ করা প্রকল্পগুলোতে ইউপি সদস্যদের সভাপতি করা হলেও প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেছেন চেয়ারম্যান নিজেই। কিছু প্রকল্পে ইউপি সদস্যকে সভাপতি করা হলেও তারা জানেন না। প্রকল্পগুলোর মধ্যে শিমরাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হোসেন ডাক্তারের বাড়ি হয়ে বুড়ি নদী পর্যন্ত আলাদা আলাদা প্রকল্প কাগজে দেখালেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই এলাকায় কাজ করা হয়েছে শুধু একবার। ইউনিয়ন পরিষদের সেক্রেটারি টেবিল ও বেঞ্চ বানাতে এক লাখ ৫৫ হাজার টাকার প্রকল্প দেখালেও শুধুমাত্র কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার কিনেছেন চেয়ারম্যান। পরিষদের জন্য স্মার্টফোন কিনতে ২০ হাজার টাকার প্রকল্প দেখিয়েছেন। কিন্তু স্মার্টফোন কেনা হয়নি।

সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হাসিনা আক্তার বলেন, আমি জানি শুধু আমাকে সভাপতি করা হয়। এছাড়া আমি আর কিছুই জানি না। প্রকল্পের চেক আনা সহ যাবতীয় কাজ চেয়ারম্যান নিজেই করেছেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল খায়ের বলেন, কিছু প্রকল্পে আমি সভাপতি ছিলাম। আবার কয়েকটি প্রকল্পে সভাপতি করে আমার নামে ফলক লাগানো হয়েছে। কিন্তু আমি তা জানি না। কাজ করে টাকা উত্তোলন করেছেন চেয়ারম্যান নিজেই।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, দুদকের কাছে করা অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আলম মিয়া বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি জানিনা।

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :