প্রকৌশলীকে পেটানো সেই উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২০, ২০:৩৬ | প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২০, ১৮:৪৯

প্রকৌশলীর গায়ে হাত তোলার অপরাধে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১-কে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তোলার সময়েই প্রকৌশলীকে মারধর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এ ঘটনার চার দিনের মধ্যেই তাকে বহিষ্কার করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘‘যেহেতু কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কর্তৃক গত ১৯ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৬ তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজে ঠিকাদার নির্মাণকাজ ঠিকমতো করছে না ও পাথরের গুণগত মান নিয়ে আপত্তি ইত্যাদি কারণে পরিদর্শনকালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নূর আলমকে ঘুষি, চড়, থাপ্পড় মারেন ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। যেহেতু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক সম্পাদিত এহেন কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে, যা সার্বিকভাবে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে অচলাবস্থা সৃষ্টি ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাসহ অন্যান্য উপজেলা পরিষদে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

যেহেতু উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ১৩ ধারা অনুসারে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং তার এ পদে বহাল থেকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করা রাষ্ট্র বা পরিষদের স্বার্থের হানিকর, সেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

এমতাবস্থায় উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ১৩খ ধারা অনুসারে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানকে কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো এবং কচুয়া উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১-কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং অবিলম্বে তা কার্যকর হবে।’’

উল্লেখ্য, স্কুল ভবন নির্মাণে স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির। গত ১৯ জুলাই উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নূর আলম ওই সাইট পরিদর্শনে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তার সঙ্গে আসা স্থানীয় লোকজন প্রকৌশলীর ওপর চড়াও হন। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রকৌশলী। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সংগঠন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :