যমুনার পানির সঙ্গে বাড়ছে ১০ লাখ পানিবন্দির দুর্ভোগ

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০২০, ১৯:২২ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০, ১৯:২৫

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

যমুনা নদীর পানি আবারো বাড়তে শুরু করায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ১০ লাখ পানিবন্দির জনজীবন। বাড়ি ঘর, রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাওয়ায়  কর্মহীন পানি বন্দিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে বানভাসীদের দুর্ভোগ কমাতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের পাশাপাশি বন্যার্তদের মাঝে শুকনো রুটি ও রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করছে জেলা প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। কয়েক দফায় বন্যার পানি কমতে ও বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তাদের জীবন যাপন। করোনা ও বন্যার কারণে অনেক দিন যাবত কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা।

তাদেরই একজন চিনাডুলী ইউনিয়নের বাসিন্দা আকলেছ জানান, সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এটি অল্প পরিমানে থাকায় কয়েকদিনের ভেতরেই খাদ্যের অভাবে পড়েন তিনি। তাই তাদেরকে খুব কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে।

ত্রাণের বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী বলেন, পানি বন্দিদের দুর্ভোগ কমাতে জেলা প্রশাসন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসীদের জন্য শুকনো রুটি ও রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে কিছুদিন এবং এবার ভয়াবহ বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

এদিকে জেলার বকশিগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে সোহান ও মাহিন নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিন দফা বন্যায় এ নিয়ে পুরো জেলায় নারী, শিশু ও মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৩ জনের মৃত্যু হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/কেএম)