চিকিৎসক না থাকায় ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে গোপালপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র

তালুকদার আতিক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২০, ২১:৫৭

রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি থাকলেও কালকিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ।

নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অচল হয়ে পড়ছে আর ইউনিয়নবাসীও স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ফলে ইউনিয়নের কারো চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন হলে যেতে হচ্ছে কালকিনির উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

সরেজমিন গোপালপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। আশপাশের পরিবেশও নোংরা। কেন্দ্রটির মতোই এর সাইনবোর্ডটিও ধুঁকছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি যেন পরিত্যক্ত।

অথচ গোপালপুর ইউনিয়নের জনগণের ভরসার স্থল ছিল কেন্দ্রটি। চিকিৎসক না থাকায় রোগীরাও এখন এখানে আসে না। কেন্দ্রটির একমাত্র বিশুদ্ধ পানির সংস্থান টিউবওয়েলটিও দীর্ঘদিন ধরে অকেজো।

চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী জানান, এখানে চিকিৎসক নেই। আর ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলেও স্বাস্থ্য কর্মী প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক, কৃমির ওষুধ আর হাতে গোনা দুই একটা ওষুধ দিতে পারেন। আবার ওষুধ যা দেওয়া হয় তার পরিমানও সীমিত।

বর্তমানে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটির দায়িত্বে আছেন ফার্মাসিস্ট দিপালী তালুকদার। তাকে সহযোগিতা করছেন অফিস সহায়ক হানিফ মাতুব্বর। তাদের ভাষ্য মতে, চিকিৎসক না থাকলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন রোগী আসেন। আর চিকিৎসক থাকার সময়ে আরও বেশি রোগী আসত। একজন মেডিকেল অফিসার না থাকায় ইউনিয়নটির রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে চিকিৎসক না থাকার বিষয়টি অবহিত করেছি।

‘এরপর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আফরোজা আক্তার নামের একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে দুইদিন গোপালপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার জন্য বলার পর তিনি কিছুদিন কেন্দ্রটিতে এসে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমন শুরুর পর তিনি আর আসেননি।’

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল-বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ঢাকা টাইমসকে জানান, গোপালপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে নাজুক। এজন্য নতুন ভবনের জন্য জেলা সিভিল সার্জন বরাবর আবেদন করা হয়েছে।’

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ‘আফরোজা আক্তার নামের একজন চিকিৎসক সপ্তাহে দুই দিন কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি রূপ নেওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। করোনার প্রকোপ কমে গেলে তিনি আবার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেবেন।’

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/প্রতিনিধি/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :