যমুনায় বিলীন সিরাজগঞ্জের শতাধিক ঘরবাড়ি
যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি। শুক্রবার দুপুর থেকে এ ভাঙন শুরু হয়ে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই এসব ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে আশপাশের আরও দু-তিনটি গ্রাম।
ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম জানান, দুপুর থেকে হঠাৎ করে শুরু হয় ভাঙন। এই রকম নদী ভাঙ্গন আগে কখনো দেখেননি তিনি। মুহুর্তের মধ্যেই শতাধিক বাড়ি-ঘর, মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত মানুষগুলো জীবন বাঁচাতে আসবাবপত্র- ঘরবাড়ি এমনকি গবাদিপশু ফেলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসেন। শত শত মানুষ গৃহহীন ও নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আশপাশের কয়েকটি গ্রামও।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের আপাতত বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসায় রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, সিমলা স্পারের স্যাংক বাঁধটা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যমুনার স্রোত ঘুরে সরাসরি বাঁধে আঘাত হানে। এ কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। শীঘ্রই ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হবে। তবে পাউবোর অনেক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্তের কারণে তড়িঘরি কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গ, গত ১ জুন সিমলা-পাঁচঠাকুরী স্পারের স্যাংক বাঁধটি প্রায় ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালির বস্তা ফেলে কোন রকমে বাঁধটি সংস্কার করা হলেও তিন সপ্তাহের মাথায় স্পারের মূল স্যাংকসহ অধিকাংশ এলাকা নদীগর্ভে চলে যায়। মূল স্পার থেকে বাঁধটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক দেখা দেয়।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/পিএল)