শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে
সিলেটের বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আজ মাঠে আন্দোলনে নেমেছেন৷ তাদের আন্দোলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো সন্তানদের মাসিক বেতন যেনো হ্রাস করা হয়। আমি তাদের এই আন্দোলনের সাথে পুরাপুরি একমত। সিলেটের মাটির একজন সন্তান হিসেবে সিলেটের সকল যৌক্তিক আলোচনায় নিজেকে সামিল করা অনস্বীকার্য।
সিলেটের ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ বাংলা মিডিয়াম প্রতিষ্ঠান সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই করোনাকালীন সময়েও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরো বেতন নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমরা সকলেই জানি ধনী মানুষেরা ও মাঝেমধ্যে অনেক কষ্টের জীবন পার করেন। আর সারা দুনিয়া যখন একই সাথে একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে সে সময়ে এসে পুরোপুরি বেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করা কারো পক্ষে সম্ভব না।
এখন কথা হলো শিক্ষকদের বেতন এবং মেইনটেইনেন্স খরচ তো তুলতে হবে। হ্যা তুলতে হবে। সেজন্য বেতন অর্ধেক করে তোলা হউক। অনেক অভিভাবক তাদের চাকরি হারিয়েছেন। অনেক অভিভাবক তাদের ব্যবসায় লাল বাত্তি জ্বালিয়ে বসে আছেন। খেয়ে দেয়ে বেঁচে থাকাই যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে সেখানে পুরো মাসিক বেতন দেওয়াটা অবশ্যই অনেকের জন্য কঠিন কাজ ও বটে।
পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া লাগে। আমরা সকলেই অবগত আছি যে অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান সারা বছর কোটি কোটি টাকা আয় করে থাকে। একটা বছর অন্তত কয়েক লাখ কম আয় করলো তাতে তো তেমন কিছুই যায় আসে না।
সেজন্য আশা রাখবো অভিভাবকদের এই যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ ভালোভাবে নিবেন। মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরলে না হয় আবার সবাই আগের মতোই মাসিক বেতন পরিশোধ করলো।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থী একটা অবিচ্ছেদ্য পরিবারের মতো। কেউ কাউকে রেখে আগাতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করে শিক্ষা প্রদান করতে চাইলে সে শিক্ষার কোনো ম্যোরাল ভ্যালু থাকে না৷ আশা রাখবো শিক্ষার্থীদের এই দুঃসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটা সুন্দর সমাধানে আসবেন।
আসুন আমরা মানবিক হই। শিক্ষা দিয়ে যদি ব্যবসা হয়েও থাকে সেটা অন্য সময়ে হউক আপাতত এই সময়ে না।
লেখক: শিক্ষার্থী
ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসকেএস