আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপরে

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২০, ১৮:২১

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে আত্রাই নদীর পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সিংড়া পৌর শহরের বাজার এলাকার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন দিয়ে উল্টো বাজারেই প্রবল বেগে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে পৌর শহরের জয়বাংলা মোড় হতে তুলাপট্রি ও বাজারের কাপড়পট্রি, গাইনপাড়া সড়কে যান চলাচল বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৪ কিলো মিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে বন্যা দূর্গতদের জান-মাল রক্ষার্থে শনিবার সকাল থেকে পৌর শহরের পেট্রোবাংলা, গোডাউনপাড়া, সোহাগবাড়ী ও বাজারের বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেটে পানিতে ভিজে পানিবন্ধী মানুষের খোঁজ খবর নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক ও পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস।

নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, প্রবল বন্যায়  সিংড়া উপজেলার সারদানগর-ভাগনারকান্দি ও বিলহালতি ত্রিমোহনী সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বালির বস্তা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাগুলো রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, বর্তমানে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সিংড়া পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে ২২টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৪২১ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা তহবিল থেকে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও আরো ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সিংড়া পৌরসভাসহ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত অবস্থায় আছে। ধানের বীজতলাসহ পাঁচ শতাধিক পুকুর ভেসে গেছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো কয়েকশ লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা দেয় হচ্ছে। বানভাসীদের চলাচলের জন্য বাঁশের সাকো ও নৌকা দেয়া হচ্ছে। এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করে রাস্তা রক্ষা চেষ্টা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/কেএম)