দুই হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এক কোটি টাকা সহায়তা দিল রূপান্তর

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২০, ১৪:৩১ | প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২০, ১৩:৪৯

বাগেরহাট ও খুলনায় মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহে দুই হাজার জনকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর।

খুলনা মহানগর এবং বাগেরহাট পৌরসভাসহ দশ ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া নারী ও পুরুষদের আত্মনির্ভরশীল করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এই উদ্যোগ নিয়েছে। মঙ্গলবার বাগেরহাটে এই নগদ অর্থ সহায়তার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

আর্থিক সহায়তা পাওয়াদের মধ্যে রয়েছে ঋষি, ডোম, খ্রিষ্টান, যৌনকর্মী, হিজড়া, আদিবাসী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা।

রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বাগেরহাট পৌরসভা ও সদর উপজেলার দশ ইউনিয়নের সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে বাছাই করে ৭৩৭ জনের তালিকা তৈরি করে প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই ক্ষুদ্র টাকা দিয়ে ছোট পরিসরে ছাগল, হাঁস-মুরগি কিনে তা লালন-পালন করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে। তিনি বলেন, তারা নিজেদের চেষ্টায় যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্যই আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।

বাগেরহাটে ৭৩৭ এবং খুলনা সিটি করপোরেশনে ১২২৩ জনকে মোট এক কোটি টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে রূপান্তর।

বাগেরহাটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন কাজের সহায়ক সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উন্নয়নকর্মী রিজিয়া পারভীন এই প্রতিবেদককে বলেন, বাগেরহাট পৌরসভা ও সদর উপজেলার দশ ইউনিয়নে ঋষি, ডোম, যৌনকর্মী, হিজড়া, আদিবাসী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমরা এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে অবহেলিত নারীদের প্রাধান্য দিয়েছি। এই অর্থ সহায়তা পাওয়াদের মধ্যে ষাটভাগই নারী। তারা যাতে এই ক্ষুদ্র সহায়তা নিয়ে হাঁস-মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারে সেই পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

অর্থ সহায়তা পাওয়া নারী বেলা রানী দাস, বিমলা বাগচি ও তৈয়ব আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, করোনার কারণে আমাদের পরিবারের সদস্যরা অনেকদিন বেকার ছিল। দিন মজুরি, মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করতে না পেরেে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে যাই। এই বিপদের সময় এনজিও আমাদের অফেরতযোগ্য নগদ পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা দেয়ায় আমরা দারুণ উপকৃত হয়েছি। আমরা এই টাকা দিয়ে ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করে কিছু রোজগারের চেষ্টা করব।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :