লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি

প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২০, ২২:০৭

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন থেকে

লন্ডন-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু, বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের উপর থেকে ফি প্রত্যাহার ও সিলেট এম এ জি ওসমানী বিমান বন্দর থেকে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘আমরা সিলেটবাসী’ নামে একটি সংগঠন।

সোমবার (২৭ জুলাই) লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়,গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সিলিভ এভিয়েশন এক নোটিসের মাধ্যমে জানিয়েছে এখন থেকে লন্ডন-সিলেট রুটে বিমান যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ঢাকায় ব্যাগেজ ক্লেইম ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নতুন করে বোডিংপাস নিয়ে ডমেস্টিক ফ্লাইটে সিলেট যেতে হবে।

ঢাকা হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল থেকে ডমেস্টিক টার্মিনালের দূরত্ব একমাইল। দীর্ঘ ১০/১২ ঘণ্টা বিমানে চড়ে আবার পায়ে হেঁটে মালমালসহ যেতে হবে আভ্যন্তরীণ টার্মিনালে। এতে হয়রানি এবং যাত্রী নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া বয়স্ক এবং শিশুদের জন্যে কতখানি কষ্টকর তা কিন্তু বিমান সিভিল এভিয়েশন ভাবেননি। একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও। বিমান ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের এই অন্যায় সিদ্ধান্তে সিলেট বিভাগসহ বৃটেনে বসবাসরত সর্বস্তরের প্রবাসীরা হতাশ হয়েছেন।

এই উদ্যোগের পেছনে ঢাকার একটি হোটেল ব্যবসায়ী গোষ্ঠি, বিমানের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারি ও উচ্চপদস্থ আমলাদের দায়ী করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রশাসনের বিভিন্ন  গুরুত্বপূর্ণ পদের কিছু সংখ্যক আমলা এ জাতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের নিজস্ব স্বার্থে।

তারা বলেন, একটি মহল অত্যন্ত কৌশলে সিলেটি বিমানযাত্রীদের পূঁজি করে বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা আয় করছে। লাভবান হচ্ছে বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের কিছু সংখ্যক কর্মচারী ও ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত কয়েকটি গেস্ট হাউজের মালিক। অযথা  ট্রানজিট যাত্রীদের এয়ারপোর্ট থেকে লাল-হলুদ টোকেন দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় চিহ্নিত কয়েকটি গেস্ট হাউজে। এতে লাভবান হন বিমানের কিছু কর্মচারী কর্মকতা ও গেষ্টহাউজ মালিকরা। অন্য দিকে জাতীয় পাতাকাবাহী বিমান প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা গচ্ছা দিচ্ছে। আর যাত্রীরা এসব গেস্ট হাউজে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে বিমানের উপর আস্থা হারাচ্ছেন এবং সীমাহীন কষ্ট ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

তারা বলেন, সিলেট থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইট চালু না করার একমাত্র কারণই হলো কতিপয় বিমান কর্মচারী ও উত্তরার কয়েকটি গেস্ট  হাউজের ব্যবসা। এই বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে জানানো হলেও বিষয়টি কেউ আমলে না নিয়ে বিভিন্ন  অজুহাতে যাত্রী হয়রানি করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/কেএম)