জামালপুরে বন্যায় বানভাসীদের দুর্ভোগ

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২০, ১৮:৪৬

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বানভাসীদের দুর্ভোগ। দুর্ভোগ কমাতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বুধবার সকালে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ চিনাডুলি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানিতে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় একটি উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক বানভাসী। একমাস যাবত সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন তারা। উঁচু সড়কটিতে গবাদি পশু নিয়ে একসঙ্গেই বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। করোনা আর বন্যার কারণে কয়েকমাস যাবত কর্মহীন থাকা এসব বানভাসীরা অর্থাভাবে  খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন।

দক্ষিণ চিনাডুলি এলাকার বাসিন্দা বাছিতন বেগম বলেন, বন্যায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাড়ি ঘর সব কিছু পানির নিচে। জমানো কিছু টাকা দিয়ে এতো দিন চলেছেন তারা। এখন খুব কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছেন তারা। তারা ঈদের আগে সরকারি সহায়তার দাবি জানান।

একই এলাকার আরেকজন বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে কর্মহীন তারা। তাই হাতে টাকা পয়সা নেই। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে তাদের। একবার ত্রাণ  পেলেও তা পরিমানে কম থাকায় বেশিদিন যায়নি তাদের। তারা আবারো সরকারি ত্রাণ সহায়তার দাবি জানান।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, এ পর্যন্ত তিনদফা বন্যায় বানভাসী ছাড়াও অসহায় দরিদ্র চার লাখ ২২ হাজার পরিবারকে ত্রাণের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া আরো এক হাজার ৪৪৪ মেট্রিক  টন চাল, এক কোটি ৫৭ লাখ নগদ টাকা এবং গরু ও শিশু খাদ্যের জন্য ৬৬ লাখ টাকা এবং হাজার ৬০০ বান্ডেল ঢেউ টিন চেয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/কেএম)